• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১
গণপিটুনিতে রেণুকে হত্যা

একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, যাবজ্জীবন ৪ জনের


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ৯, ২০২৪, ০১:১০ পিএম
একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, যাবজ্জীবন ৪ জনের

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণু নামের এক নারীকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় এক আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আরও চারজনকে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মন্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। তবে সেদিন এক আসামির অনুপস্থিতির কারণে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে যান তাসলিমা বেগম রেণু। ওই সময় উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেণুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

পরে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। এই দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।

রেণু হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা।

আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।

মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!