ঢাকা: রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের রিমান্ড শুনানি চলছিল। এসময় আদালত কক্ষে তার ছেলের উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আদালত চলাকালে তার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল ৯টার দিকে গ্রেফতার কামরুলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় কামরুল ইসলামের ছেলে ডা. তানজির ইসলাম অদিতকে আদালতের এজলাস কক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় কয়েকজন আইনজীবী তার ছেলেকে উদ্দেশ করে বলতে থাকেন, আদালতের ভেতরে তার (কামরুলের ছেলে) কাজ কী? তিনি এখানে কেন? তার উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তিনি বেরিয়ে যান।
এরপর ডিবি পুলিশের চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরআগে সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।
কামরুল ইসলাম তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে হন। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় আবারও সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।
এম