• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট

আপিলে খালেদা-তারেকসহ সবাই খালাস


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ১১:১২ এএম
আপিলে খালেদা-তারেকসহ সবাই খালাস

ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, এ মামলায় আসামিদের কারো ‘অপরাধ পাওয়া যায়নি’।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। এর ফলে আওয়ামী লীগ আমলে দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন দুটোতেই নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। ফলে তার নির্বাচন করার আর বাধা থাকল না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালত চত্বরে বলেন, মামলাটা এতোটা বিদ্বেষপূর্ণ ছিল যে, যারা আপিল করেছে এবং যারা আপিল করতে পারেনি-সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সাধারণত আপিল অ্যালাও করা হলে হাই কোর্টের রায় বাতিল করা হয়। এইখানে হাই কোর্ট এবং বিচারিক আদালত- দুই রায়ই বাতিল করা হয়েছে।

আদালত এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ ঘোষণা করে বলেছে যে, ‘এই মামলায় আপিলকারীদের যে সম্মানহানি করা হয়েছিল তা তারা ফিরে পেলেন’।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকও হাই কোর্টে আবেদন করে।

দুই আবেদনের শুনানি করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ খালেদা আসামিদের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। আর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সরকার পরিবর্তনের পর সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ তার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।

২০০৯ সালের গত ৫ অগাস্ট খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সলিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!