ঢাকা: একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি ইকবাল হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিমকে গ্রেফতারের পর র্যাব বলেছে, ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার সভা মঞ্চে এই জঙ্গি গ্রেনেড ছুড়েছিলেন।
ঘটনার ১৬ বছর এবং আদালতের রায়ের তিন বছর পর সোমবার রাতে ইকবালকে ঢাকার দিয়াবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার র্যাব সদর দফতরে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মুফতি হান্নানের নির্দেশে তিনি মঞ্চের দিকে গ্রেনেড ছুড়েছিলেন।
এর আগে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি ব্রিফিংয়ের আগেই গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছিলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
র্যাব বলছে, গ্রেনেড হামলার পর আত্মগোপনে যান ইকবাল। মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড হয় তার। আত্মগোপনে থাকাকালীন ইকবাল নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিকশা মেকানিকের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। র্যাব ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার অব্যাহত অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। প্রথমে ‘সেলিম’ এবং পরবর্তীতে ‘জাহাঙ্গীর’ নাম ধারণ করেন তিনি।
ইকবাল ঝিনাইদহের আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :