• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে এসআইয়ের পরকীয়ার 


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ০৪:৩৭ পিএম
অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে এসআইয়ের পরকীয়ার 

ছবি (প্রতীকী)

ঢাকা : মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাদী নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক উপপরিদর্শকের (এসআই)। পরে ১০ মাসের সন্তানকে নিয়ে চলে গেছেন ওই নারী। এ ঘটনায় স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বামী।

জানা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মারামারির ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন এক নারী। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এসআইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মামলার বাদী সেই নারী ১০ মাসের সন্তানকে নিয়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই নারীর স্বামী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলামকে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, অভিযোগকারী ব্যক্তি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন। মারামারির ঘটনায় গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন তার স্ত্রী। মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় এক এসআইকে। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
 
ওই নারীর স্বামীর অভিযোগ, পুলিশের ওই কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে নানা প্রলোভন ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও দুজনের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে তিনি তার স্ত্রীর মেসেঞ্জারে উভয়ের মধ্যে কথোপকথনের প্রমাণ পান।

অভিযোগকারী বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট ১০ মাসের সন্তানকে নিয়ে আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং বড় মেয়েকে নিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি (শ্বশুরবাড়ি) মাগুরায় বেড়াতে যায়। কিন্তু গত ১৮ আগস্ট থেকে স্ত্রী আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মোবাইলেও আমার নম্বর ব্লক করে রেখেছে। পরে স্ত্রীর মোবাইলের কললিস্ট উদ্ধার করে দেখি, স্ত্রী ও এসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’

দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে অভিযোগকারী বলেন, ‘এসআই আমার স্ত্রীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গেছে। বর্তমানে বড় মেয়ে আমার কাছে। ছোট মেয়ে ও স্ত্রীর হদিস পাচ্ছি না।’

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় এসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!