• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
জাল সার্টিফিকেট-কাণ্ড

প্রয়োজনে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও জিজ্ঞাসাবাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
প্রয়োজনে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা : জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এমনটিই বলেন।

তিনি বলেন, ‘সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন, আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে ছাড় দেইনি। এই চক্রের সঙ্গে যত বড় রাঘববোয়াল জড়িত থাকুক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের তথ্য উৎপত্তিতে যদি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। আমরা যেকোনো সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকব।’

উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে জাল সার্টিফিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালাবাগ বিভাগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ এপ্রিল রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত এবং বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত বেতনভুক্ত সহকারী ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যমতে, বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র এবং শত শত সার্টিফিকেট মার্কশিট তৈরি করার মতো বিশেষ কাগজপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্ল্যাঙ্ক কপি, শতাধিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, জীবনবৃত্তান্ত, গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

পাশাপাশি, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

ডিবিন প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তাঁদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুজুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে গত ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো.মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে গত ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া সর্বশেষ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেবের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গতকাল উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!