• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আমেরিকা থেকে ঢাকায় কোটি টাকার গাঁজার চকলেট


নিজস্ব প্রতিনিধি এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
আমেরিকা থেকে ঢাকায় কোটি টাকার গাঁজার চকলেট

ঢাকা: আমেরিকা থেকে ঢাকায় ডাকযোগে আসা কোটি টাকা মূল্যের গাঁজার চকলেট ও কেক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। পরে পার্সেলে উল্লেখিত ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো.রাসেল মিয়া (২০), রমজান মিয়া (২১) ও  মো. ইমরান ওরফে রাজ (২০)।

ডিএনসি জানায়, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে একটি পার্সেল আসে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্সেলটি জব্দ করে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো (উত্তর)।

পার্সেলটি খুলে দেখা যায়, বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেট করে আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত গাঁজার কুশ, চকলেট ও কেক। এসব মাদকের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

পার্সেলের ভেতরে থাকা ৬ টি প্যাকেটে ছিল টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, যা আমেরিকার তৈরি। যার ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। পার্সেলে আরও ছিলও আমেরিকার তৈরি গাঁজার চকলেট ৯ টি। এছাড়া পার্সেলে ছিলও আমেরিকার তৈরি ১০ টি গাঁজার কেক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)  দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসি'র মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।

তিনি বলেন, রোববার (২১ এপ্রিল)  পল্টনের পুরাতন ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাকের শাখা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আসা একটি পার্সেল জব্দ করা হয়। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, ক্যানাবিস চকলেট ও ক্যানাবিস কেক জব্দ করা হয়।

পার্সেলের গায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায় পার্সেলটি ডেলিভারি নেওয়ার কথা ছিলও তার। সে আরও জানায়, গ্রেপ্তার রমজান মিয়া তাকে পার্সেলটি টাকার বিনিময়ে রিসিভ করার কথা বলে।

পরে রাসেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রমজান মিয়াকে আশুলিয়ার আমতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান মিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাকে টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি রিসিভ করতে বলেন মো. ইমরান ওরফে রাজ। পরে রাজকেও গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রমজান ও রাজ একে অপরের বন্ধু।

তিনি আরও বলেন, যে প্যাকেটে করে মাদকগুলো আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিল সেগুলো ছিল বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেট। যাতে করে কেউ বুঝতে না পারে এসব প্যাকেটে মাদক রয়েছে। গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদেশ থেকে গাঁজার কেক, কুশ ও চকলেট এনে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো।

বিদেশ থেকে যারা এই মাদকটি বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!