লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পুলিশ ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) উপজেলার নাওদাবাস এলাকার শালবনে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজছাত্রীর সাথে দইখাওয়া বাজারের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী ও দক্ষিন গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তারের সাথে সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক করে আব্দুর সাত্তার। সেই সময় বন্ধুকে দিয়ে মোবাইলে সেই সম্পর্কের ভিডিও করায় সে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজছাত্রীকে ফের ধর্ষণ করে। এর একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছাড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। এসময় ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা বেগতিক হলে ধর্ষকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ওই নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দক্ষিন গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তার, দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের ছেলে রোকন, ৫ নং ওয়ার্ডের আইয়ব আলীর ছেলে রাকিবুল, একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন, নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু, নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির ছেলে সুলতানকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসএস