ঢাকা : ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমতি দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত এর গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে এই গ্রাহকদের বেশির ভাগ হিসাবই এখন বন্ধ। ফলে হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়লেও কার্যত কার্যকর হিসাব কমেছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার। আর নিষ্ক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার। যা তার আগের মাস আগস্টে ছিল ৯ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজার।
অর্থাৎ এক মাসে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা উল্টো কমেছে।
টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বর শেষে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার, যা মোট গ্রাহকের ৪৯ শতাংশ। আগের মাস আগস্টে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫ লাখ ৭৩ হাজার।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :