• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

প্রণোদনা সুবিধা বাড়ানোর দাবি বিজিএমইএ’র


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৮, ২০২০, ১০:৩৬ এএম
প্রণোদনা সুবিধা বাড়ানোর দাবি বিজিএমইএ’র

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউর মুখে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। 

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল মধ্যমে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক।

এসময় তিনি দেশের তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা মোটামুটি সামাল দেওয়া গেলেও দ্বিতীয় ধাক্কা লেগেছে দেশের প্রধান এই রপ্তানি খাতে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলতি বছরের মার্চ-জুলাই পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাকের রফতানি কমেছে ৩৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে রফতানিতে সামান্য প্রবৃদ্ধি হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা আবারও হুমকির মুখে পড়ে।

এ অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে প্রথম দফায় সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের (ঋণ) অর্থ পরিশোধে সময়সীমা ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করার দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের পাশে থাকতে আবারও কয়েক মাসের জন্য আগেরবারের মতোই একটা প্রণোদনা প্যাকেজ চান তিনি।

সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ভিয়েতনাম, ইথিওপিয়া ও কম্বোডিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য অনেক বড় ও টেকসই প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারবে না বলেও জানান তিনি। 

বিজিএমইএ সহায়তার চাওয়ার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমকিদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। তবে, তা শুধু তৈরি পোশাক খাত, সব খাতকেই আমলে নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে এই সহযোগিতা যেন একদম ঢালাওয়াভাবে না হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হয়, সেভাবেই সরকারের কৌশল সাজানোর পরামর্শ দেন তিনি।

পোশাক শিল্পকে অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি  উল্লেখ করে তিনি বলেন লাখো লাখো শ্রমিকের কর্মসংস্থানকারী এ খাতটি যেন কোনভাবে বিপর্যয় কবলিত না হয়, সেজন্য সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করে শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।

সভায় ২০১৮-২০১৯ সালের নিরীক্ষিত হিসাব বিররণী পাস হয় এবং ২০১৯-২০২০ সালের বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, প্রথম ধাক্কায় মার্চের পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় সোয়া ৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে, করোনার সংক্রমণ কমতে থাকায় আবার সেই স্থগিত ও বাতিল ক্রয়াদেশের প্রায় সবটুকুই (৯০ ভাগ) ফিরে আসে দেশের পোশাক কারখানায়।

ড. রুবানা হক সভাপতিত্ত্বে এ সভায় অংশ নেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি (অর্থ) এম এ রহিম ফিরোজ, সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দিপু, সহ-সভাপতি মো. মশিউল আজম সজল, সহ-সভাপতি এ এম চৌধুরীসহ অন্যান্য বিজিএমইএ সদস্যরা।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!