• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

রবি’র আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত 


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০২০, ০২:৪৪ পিএম
রবি’র আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব ছবি

ঢাকা: মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের লেকশোর হোটেলে কোম্পানিটির আইপিও ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রবি আজিয়াটা লিমিটেডের এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয় আবেদন, যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৪১তম নিয়মিত কমিশন সভায় রবির আইপিও অনুমোদন দেয়।

রবি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এর বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মিলে আইপিওতে ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার আবেদন করেছে।

জানা গেছে, আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫৮৭ কোটি টাকার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন করেছে। যা নির্ধারিত আবেদনের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৪ গুন বেশি। ফলে লটারির মাধ্যমে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৯১ জন ভগ্যবান বিনিয়োগকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছেে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৯৪জন বিনিয়োগকারী।

এর আগে ২০০৯ সালে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোণ আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪৮৬ কোটি সংগ্রহ করে।

রবি’র বর্তমানে ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এই মূলধনের কোম্পানিটির নিট সম্পদ রয়েছে ৫ হাজার ৯৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার। এ হিসাবে কোম্পানিটিতে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িঁয়েছে ১২.৬৪ টাকায়। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) মাত্র ৪ পয়সা।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডে। ১৯৯৭ সালে টেলিকম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল (বাংলাদেশ) একটেল ব্র্যান্ড নামে কোম্পানিটি কাজ শুরু করে। ২০১০ সালে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড করা হয়।

২০১৬ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পরে কোম্পানিটি দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং একই নাম ধরে রেখেছে। এই একীভূতকরণের কারণে বেশ কয়েক বছর লোকসানের পরে গত বছর কোম্পানি মুনাফা অর্জন করে।

মালয়েশিয়ার টেলিকম জায়ান্ট আজিয়াটা গ্রুপ বেরহাদের কাছে রবি আজিয়াটার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির অন্যান্য শেয়ারহোল্ডাররা হলেন দিল্লিভিত্তিক ভারতী এয়ারটেল এবং টোকিওভিত্তিক এনটিটি ডকোমো।

দেশের বাজারে এ আইপিও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ঝিমিয়ে পড়া পুঁজিবাজারে চাঙ্গা ভাব ফেরাতে সহায়ক হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেছেন।

রবি আজিয়াটা লিমিটেড বলছে, ৫২৩ কোটি টাকা বাংলাদেশের বাজার থেকে তোলার জন্য তাদের যতটা না আগ্রহ ছিল; তার চেয়ে আগ্রহ গ্রাহক এবং দেশের মানুষের সাথে একটি বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানির মালিকানা শেয়ার করায়।

কোম্পানিটি গত বছর দেশের পুঁজিবাজারে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়। এ জন্য নিয়োগ করে ইস্যু ম্যানেজার। পুঁজিবাজারে প্রবেশ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ নিশ্চিত করার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তারা বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেছে।

দেশের সবচেয়ে বেশি কর সংগ্রহ করা খাত টেলিকম। এ খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ২ শতাংশ মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্স। গত বছর ২ শতাংশ মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্সের জন্য কার্যকর করের হার দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশ। টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার করা না হলে এ বছর কার্যকর করের হার দাঁড়াবে ৮০ শতাংশের বেশি।

বর্তমানে শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত কোম্পানির জন্য ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া হয়ে থাকে। তবে গ্রামীণফোন যখন শেয়ার বাজারে এসেছিল তখন তারা ১০ শতাংশ রেয়াত পেয়েছিল। তাই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত করের পার্থক্য ১০ শতাংশ হওয়া উচিত যা ১০ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। তাই এ খাতের কর সীমা সহনীয় করার দাবি জানিয়েছে রবি।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!