• ঢাকা
  • রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল, সবজিতে স্বস্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৬:৫৯ পিএম
কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল, সবজিতে স্বস্তি

ঢাকা : বাঙালি জাতির খাদ্যাভ্যাসে থাকা যেকোনো তরকারিতে কাঁচামরিচ একটি অতিপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। এটি ছাড়া যেন তরকারির স্বাদ ঠিকমতো জমে না। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি, যা এ সপ্তাহে অনেকখানি কমেছে।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জামালপুর থেকে আসা হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ভারত থেকে আমদানি করা (কারেন্ট নামে পরিচিত) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

তারা আরো জানান, গত সপ্তাহে হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর কারেন্ট নামে পরিচিত কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা জানান, তারা হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা কেজি এবং আমদানি করা চিকন কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন ৭০ টাকা কেজি।

দাম কমার কারণ হিসেবে আনিস নামের একজন পাইকারি বিক্রেতা জানান, কাঁচা পণ্যের দামের কোনো ঠিক নেই। যখন সরবরাহ বেশি থাকে তখন দাম কম থাকে, আবার যখন সরবরাহ কমে যায় তখন দাম বেড়ে যায়। এখন কাঁচামরিচের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তাই দাম কম।

তিনি আরো জানান, কিছুদিনের মধ্যে এ পণ্যটির দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে দাম আরো কিছুটা কমতে পারে।

ক্রেতারা বলেন, প্রায় প্রতিটি তরকারিতেই কাঁচামরিচ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আগে দাম বেশি থাকায় ১০ টাকা, ২০ টাকার কিনতে হতো। এখন একসঙ্গে বেশি করে কেনা যাবে।

এ সময় তারা সবজির দাম নিয়েও স্বস্তি প্রকাশ করেন।

কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা জানান, প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ২০ টাকা, কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, ব্রকলি ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা টমেটো ২০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, করলা ২০ টাকা, বেগুন ১০ থেকে ২০ টাকা, শিম (মানভেদে) ১৫ থেকে ৩০ টাকা, মটরশুঁটি ৬০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, ক্ষীরা ২০ টাকা, শালগম ১৫ থেকে ২০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

লালশাক, ডাটাশাক, বত্তশাক ও পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা, লাউশাক ২০ টাকা, ধনিয়া ১০ টাকা, থানকুনি পাতা ১০ টাকা ও পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা আঁটি বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া লেবুর হালি ২০ টাকা ও পেঁয়াজের কলি আঁটি ১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুধু মরিচ বা শাকসবজি নয়, দাম কমেছে পেঁয়াজের। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। আগের মতো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু, পুরোনো আলু ৪০ টাকা। এছাড়া ইন্ডিয়ান রসুন ১০০ টাকা ও আদা ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

সামান্য কিছুটা দাম কমেছে চালের। গত সপ্তাহে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হওয়া মিনিকেট এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ৬২ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৬৫ টাকা, ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়ো মোটা স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা ও ৫০ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি হওয়া আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, সরকার চাল আমদানির ঘোষণা দেওয়ায় এবং কিছু চাল ইতিমধ্যে দেশে আসায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে তা একেবারেই সামান্য। চাল যত আমদানি হবে দাম তত কমবে।

এদিকে ভোজ্যতেলের দাম আরো কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৯০ টাকা, বসুন্ধরা ৫৬০ টাকা, পুষ্টি ৫৬৫ টাকা ও তীর ৫৭০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত আছে ডিম ও মাংসের দাম।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!