ঢাকা: চলমান কঠোর লকডাউনে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে চালু থাকবে। তবে ব্যাংকিং লেনদেনের সঙ্গে মিল রেখে চলবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন।
সপ্তাহে চার দিন-সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। তবে এ সময় শুধু ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। সশরীরে ব্রোকারেজ হাউজে এসে লেনদেন করা যাবে না।
বুধবার (৩০ জুন) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল আর্থিক বাজার এবং এর লেনদেনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জড়িত। তাই সরকার ঘোষিত কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপকালে বিএসইসি সীমিত আকারে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা ৫ জুলাই থেকে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ব্যাংক হলিডের কারণে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও লেনদেন আজ বন্ধ থাকবে। এছাড়া শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে। আর বিধিনিষেধ চলাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি রোববারেও ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা আসায় এদিন পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে। ফলে টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর ৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারে শুধু ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন চালু থাকবে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে কোনো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন না। বিএসইসিসহ পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সীমিত সংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের শর্তসমূহ পরিপালন করতে হবে।
এদিকে কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ চলাকালে পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি মুভমেন্ট পাস জারি করে বিএসইসি। বাজারসংশ্লিষ্ট সবার চলাচলের সুবিধার্থে এ পাস সঙ্গে রাখতে হবে। বিএসইসি কর্তৃক ইস্যু করা মুভমেন্ট পাসে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসইসি ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, যা এ বছরের ৫ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তাই জরুরি আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ বাহককে অবাধ চলাচলের সুযোগ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারও খোলা রাখা হবে। লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে। এ সময়ে প্রি-ওপেনিং সেশন হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টা এবং পোস্ট-ক্লোজিং সেশন বেলা ১টা থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, লকডাউনের সময় পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সীমিত সংখ্যক কর্মচারীর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং বিনিয়োগকারী সশরীরে কোনো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন না। পাশাপাশি বাজারসংশ্লিষ্ট সবার চলাচলের সুবিধার্থে পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন একটি মুভমেন্ট পাস জারি করেছে।
সোনালীনিউজ/এলএ
আপনার মতামত লিখুন :