• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চালের বাজার অস্থিতিশীল হবে না : খাদ্যমন্ত্রী

ক্রেতাশূন্য বাজারেও কমেনি পণ্যের দাম


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩, ২০২১, ০৪:৩২ পিএম
ক্রেতাশূন্য বাজারেও কমেনি পণ্যের দাম

ঢাকা : কঠোর লকডাউনের কারণে ক্রেতা কমলেও দাম কমার লক্ষণ নেই রাজধানীর সবজি ও নিত্যপণ্যের বাজারে। বেড়েছে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। আর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। তাই আগের বাড়তি দামেই সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় আরেক পণ্য চালও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। তবে চালের বাজার অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রাজধানীর রামপুরা, মধ্যবাড্ডা এবং উত্তর বাড্ডার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালেও বৃষ্টি হওয়ায় বাজারগুলো ছিলো অনেকটাই ফাঁকা।

এছাড়া, লকডাউনের কারণে ঢাকা ছেড়ে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন গ্রামে। ক্রেতা কম থাকার এটিও বড় কারণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। মুরগি বিক্রেতারা জানালেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীর দাম। আর তাদের দাবি, খামারিরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায়।

তাছাড়া, ‘কঠোর লকডাউনে’ ক্রেতাদের বাড়তি কেনাকাটায়ও দাম বাড়ায় ভূমিকা রেখেছে। বাজারে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ টাকা। তবে ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। লাল (লেয়ার মুরগি) বিক্রি হচ্ছে প্রতিডজন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।

অন্যদিকে সবজি বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা কম আসায় সবজির দাম কমেছে। সবজি পচনশীল হওয়ায় বিক্রেতারা কিছুটা কমেই ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। তবে, দু-একদিনের মধ্যে সরবরাহের অজুহাতে সবজির দাম বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্রেতারা। পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

এদিকে, গত ৩০ জুন লিটারে সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হলেও খুচরা দোকানগুলো থেকে এখনো আগের বাড়তি দামেই অত্যাবশ্যকীয় এই নিত্যপণ্যটি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা এবং খোলা এক লিটার সয়াবিন তেল ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। এছাড়া বোতলের পাঁচ লিটার তেল ৭১২ টাকা এবং খোলা পাম সুপার এক লিটার ১০৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।

তবে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর পাম সুপারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

এদিকে, চালের বাজার কোনোভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ‘দেশের সামগ্রিক খাদ্যশস্যের ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আবারও বেসরকারিভাবে সেদ্ধ চাল আমদানি করার কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২৫ শতাংশ কর আরোপ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শিগগিরই নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি মজুতদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রান্তিক কৃষক অনেক আগেই ধান বিক্রি করে দিয়েছেন। মিল মালিকরা বলছেন অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃষক নন এমন অনেকেই ধান মজুত করছেন। কেউ যদি অবৈধ মজুত করে থাকেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!