• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১১, ২০২১, ০৭:৩২ পিএম
জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ

ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের ফলে রফতানির ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা পায়, তা সংকুচিত হবে। তাই দেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য প্রস্তুত হতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল  হোসেন মিয়া। 

রোববার (১১ জুলাই) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) যৌথ আয়োজনে ২য় ডায়লগ অন “চ্যালেঞ্জ এণ্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড অন ইক্সপোর্ট ডিভার্সিফিকেশন অফ বাংলাদেশ আপন এলডিসি গ্রাজুয়েশন: এ রেগুলেটরি রিফর্ম প্রোসপেক্টিভ” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তিতায় তিনি এমনটা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেন, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (​বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, অর্থ মন্ত্রণাললের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. খাইরুল জামান মজুমদার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মো. আরিফুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের সাধারণ পরিচালক আন্দালিব ইলিয়াস, প্রমুখ।

মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, “জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলডিসি কাতার থেকে বের হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসেছি। আমাদের এখন রফতানি সেক্টরগুলো নিয়ে চিন্ত করতে হবে। জিএসপি সুবিধা ছাড়া আমরা কিভাবে অর্জন করতে পারবো সেই চিন্তা করতে। আমাদের এই সুযোগ ছাড়াই আমাদের ভালো করতে হবে।”

তিনি বলেন, “দুর্বল দক্ষতা দিয়ে সামনে আগানো যাবে না। আমাদের প্রোডাক্টের স্বাস্থ্যের ব্যপারে যেন কোন প্রশ্ন না থকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হাই ভ্যালু কোয়ালিটিতে আমাদের প্রোডাক্ট মান গড়তে হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) এই সেক্রেটারি বলেন, “আমাদের প্রোডাক্ট মান দিয়ে গ্লোবাললি একটি অবস্থান করতে হবে। আমাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকে কাজ করতে হবে। ভ্যালু চেঞ্জে কাজ করতে হবে। গ্লোবাল মার্কেটে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে যা যা করা দরকার সবকিছুই আমাদের করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা ভবিষতে রফতানি বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর প্রতি জোরদার করেন।

এসময় অর্থ মন্ত্রণাললের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. খাইরুল জামান মজুমদার বলেন, “সরকারের মিশন-ভিশন বাস্তবায়ন করতে গেলে আমাদের মেক্রো সেক্টেরের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এই সেক্টরের উপর গুরুত্ব দেয়া ব্যতীত ভবিষৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।” 

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে মবিন, এফসিএস, এফসিএ।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!