• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

টিকার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া বন্ধ, যা বলছেন মালিকরা


নিজস্ব প্রতিনিধি জানুয়ারি ৪, ২০২২, ০৪:২৭ পিএম
টিকার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া বন্ধ, যা বলছেন মালিকরা

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : করোনা বিস্তার ঠেকাতে টিকার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া বন্ধের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ বিষয়ে ‘আন্তরিক’ হয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যারা টিকা নেননি তারা হোটেল-রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতে পারবেন না।

এ সিদ্ধান্তে হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের লোকসানের আশঙ্কা করে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বলেন, এমন সিদ্ধান্ত হলে মানুষ রেস্তোরাঁয় আসতে ভয় পাবে। তার ওপর অনলাইনে ব্যবসা করতে যে এজেন্টদের দ্বারস্থ হতে হয়, তারা ইচ্ছে মতো কমিশন নেবে। তাতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভোক্তা, তেমনি রেস্তোরাঁ মালিকরাও লোকসানে পড়বেন।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে অন্য একটি শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। যারা খাবার ডেলিভারির নামে নৈরাজ্য করে আসছে তাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত।’

করোনার সংক্রমণ রোধে এর আগে গত বছর দীর্ঘদিন হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ ছিল, সে প্রসঙ্গ তুলে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘এর আগে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সময়ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। দেশে সবকিছু খোলা, শুধু আমাদের ওপর বারবার খড়গ কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও দীর্ঘদিন রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল, কখনো শুধু পার্সেল বিক্রি, আবার কখনো অর্ধেক আসনে বসিয়ে খাবারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় নানা সিদ্ধান্তে মালিকরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে ক্ষতি আমরা পুষিয়ে উঠতে পারছি না এখনো।’

গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় লকডাউনের চিন্তা না থাকলেও বিভিন্ন বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের দিকে যাচ্ছে সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার।

তিনি বলেন, ‘টিকা যারা নিয়েছে তারা রেস্তোরাঁয় খেতে পারবে, অফিসে যেতে পারবে, বিভিন্ন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করতে পারবে, মাস্ক পরা অবস্থায়। টিকা যারা না নেবে, তারা কিন্তু রেস্তোরাঁয় (হোটেল) গিয়ে খেতে পারবে না। টিকার সার্টিফিকেট (সনদ) দেখাতে হবে। তবেই সেই রেস্তোরাঁ তাকে এন্টারটেইন করবে।’

তিনি বলেন, যদি কোনো রেস্তোরাঁ কাউকে (টিকার সনদ না থাকার পরও খেতে দেয়) তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভা থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার ইস্যু হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!