ঢাকা : কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকার একটা রোডম্যাপ করে অগ্রসর হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন৷
অতি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় কৃষিমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন৷
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিল্পায়ন ও বাড়ি-ঘরে জমি চলে যাচ্ছে৷ চাহিদা কিভাবে মেটানো যায়, দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে কিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ন হওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমাদের গত ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেরকমভাবে চাল আমদানি করতে হয়নি। সরকারিভাবে আমদানি করা হয়নি, বেসরকারিভাবে কিছু সরু চাল তারা আমদানি করেছিল। এরপর বন্যার কারণে বিদেশ থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে চালের দাম কমতে থাকে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আবার চালের দাম বেড়েছে। এবছর আমনের ফলন ভালো হওয়ার পরেও চালের দাম বাড়ছে। কেন দাম কমাতে পারছি না। এ কারণে আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে।আমাদের জনসংখ্যা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বাড়াতে মানুষ চাল বেশি খাচ্ছে। এতে বাজারে প্রভাব পড়ছে।তাছাড়া যারা এক সময় একবার খেত তারা এখন দুই বার খেতে পাচ্ছেন। যারা দুই বার খেত তারা এখন তিন বার খেতে পারছেন। এ কারণে চাহিদাও বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী বোরোতে, আমনে, আউশে কিভাবে উৎপাদন বাড়াতে পারি সেটি নিয়ে আমরা সভায় আলোচনা করছি। আমাদের লক্ষ্য আগামী আমন, আউশ ও বোরোতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো। আমাদের বৈজ্ঞানিকরা ব্রি ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছেন। এগুলোর প্রচলিত জাতের চেয়ে উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। এগুলো আমরা মাঠে নিয়ে আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। কৃষকের কম দামে সার, বীজ দেবো। উচ্চ ফলনশীল এই জাতগুলো কৃষকের কাছে যাতে নিয়ে যেতে পারি সে ব্যাপারে আমরা একটা রোডম্যাপ করে আগাবো। ব্রি ৮৯ যে বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন তারা এবছর একুশে পদক পাচ্ছেন। উচ্চফলনশীল এই সাব জাত মাঠে নিয়ে যেতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধিতে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবেন। এ লক্ষ্যে আমরা একটা রোডম্যাপ নিয়ে অগ্রসর হবো।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :