ঢাকা: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর আয়োজনে ‘ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তা সম্মেলন’ শনিবার (৪ জুন) রাজশাহীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক জীবন কৃষ্ণ রায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান মিজি। আরো বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দিন। ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান, ব্যাংকের নির্বাহী ও রাজশাহী জোনের অধীন শাখাগুলোর ব্যবস্থাপকগণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সপুরা এগ্রো এর ম্যানেজিং পার্টনার মো. সাজ্জাদ আলী, এস এস মৎস খামারের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম সাকলায়েন, পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের গ্রাহক শ্রীমতি রেবা রাণী সরকার, নাটোর ড্রাগন ফ্রুট গার্ডেন এর স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম নবী এবং মিনু সিল্ক গার্মেন্টস অ্যান্ড বুটিক এর স্বত্বাধিকারী মোসা. তাহমিনা আখতার। সম্মেলনে রাজশাহী অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তাগণের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ক্ষুদ্র ও এসএমই গ্রাহকদের পণ্য প্রদর্শণী করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ক্ষুদ্র কুটির ও ছোট বিনিয়োগ দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। ইসলামী ব্যাংক এই উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে অবদান রেখে চলেছে। কোভিড-১৯ এর সময়ে ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রণোদনার প্যাকেজের অর্থ বিতরণে এই ব্যাংক চমৎকার কাজ করেছে। তিনি আরোও বলেন, এসএমই খাতে গ্রাহকদের প্রতি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী অব্যাহত আর্থিক সেবা জরুরি। তিনি ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়মিত ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে ব্যবসায় প্রসারে আরো বেশি মনযোগ দিয়ে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সভাপতির ভাষণে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি সম্পন্ন ইকোনমির দেশ হিসবে স্বীকৃত। ইসলামী ব্যাংক শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তা উন্নয়ন, শিল্পায়ন, প্রবাসী সেবা, গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) গ্রামীন জনপদে জামানতবিহীন বিনিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে জীবন জীবিকার উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ৪৯০ টি উপজেলার ২৯ হাজার ৪৬৮টি গ্রামে এ প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। আরডিএস এর সদস্য সংখ্যা ১৫ লক্ষাধিক যার ৯২ শতাংশই নারী। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ব্যাংকের ১০১ টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :