• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ছয় ব্যাংকের কাছে ডলার কারসাজির ব্যাখ্যা তলব


নিজস্ব প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ১২:০৫ পিএম
ছয় ব্যাংকের কাছে ডলার কারসাজির ব্যাখ্যা তলব

ফাইল ছবি

ঢাকা : ডলারে অতিরিক্ত মুনাফা করার আরও ৬টি ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হচ্ছে-বিদেশি মালিকানার এইচএসবিসি, বেসরকারি খাতের এনসিসি, মার্কেন্টাইল, ব্যাংক এশিয়া, ইউসিবি ও ঢাকা ব্যাংক। 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোর এমডিকে চিঠি দিয়ে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক অস্থিরতার মধ্যে এ নিয়ে ১৩ ব্যাংকের কাছে এ ধরনের ব্যাখ্যা চাওয়া হলো। এছাড়া ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরানো এবং এসব ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, ডলারে অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রমাণ পাওয়ায় বুধবার ৬ ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, প্রতিটি ব্যাংক পরিদর্শন করা হবে। যদি কোনো ব্যাংকে ডলারে অতিরিক্ত মুনাফার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২৭ ব্যাংকের ৭১টি ক্রেডিট কার্ডে ডলার লেনদেনের সীমা লঙ্ঘনের মতো অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সীমার বাইরে লেনদেনের কারণে ব্যাংকগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে সাড়ে ১২ হাজার ডলার লেনদেনে করা গেলেও অনিয়মে পাওয়া ৭১টি কার্ডে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত লেনদেন করা হয়েছে। এসব তথ্য আরও পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম নিয়মিত কাজ করছে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ডলার নিয়ে কারসাজির করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই ব্যাংকগুলো হলো: সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।

এছাড়া ডলারের সংকট ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকায় এর আগে ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের অপসারন, ৫টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাতে কেউ কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট না করতে পারে তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে মুনাফার হারও নির্ধারন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে সেই দরকে বেঞ্চ মার্ক ধরে তার চেয়ে ১ টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে এবং সর্বোচ্চ ১.৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। 

বর্তমানে আন্ত:ব্যাংক ডলারের দাম ৯৫ টাকা। আর খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১১ টাকায়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!