ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ায় আমদানিতে খরচ বাড়ছে। ফলে ঈদের পর চিনির দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সচিবালয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে আয়ুর্বেদিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, ট্যারিফ কমিশনের হিসাব মতে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি আমদানিতে খরচ বেশি হচ্ছে৷ আমাদের দেশের ৯৯ শতাংশ চিনিই আমদানি নির্ভর৷ ঈদের আগে দাম বৃদ্ধি বা কমানো নিয়ে আর বসার সুযোগ নেই৷ ঈদের পর চিনির দাম সমন্বয় করা হবে৷
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখনই চিনির দাম বাড়াতে চাই না৷ ভোক্তা অধিকারকে বলব তারা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে৷ কেউ ঈদের আগে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ আমাদের চেষ্টা আছে চিনির দামের ওপর ভ্যাট কমানো হবে৷
গত ১৯ জুন চিনিকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ২২ জুন থেকে তারা প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা ও খোলা চিনি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করবে।
বর্তমানে প্রতিকেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারিত আছে। তবে বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
সেমনিারে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা ছোটবেলায় মা বলতেন কালোজিরা বেটে ভাতের সঙ্গে খেতে৷ এতে শরীর ভালো থাকে৷ হাজার হাজার বছর ধরে লতাপাতা দিয়ে চিকিৎসা করে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা সুস্থ থেকেছেন৷ আমাদের হাজার বছরের চিকিৎসার ইতিহাসে আয়ুর্বেদের সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ এ খাতে সামনে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে৷ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে খেতে এক সময় আমাদের শরীর অকেজো হয়ে পড়বে৷ এর বিপরীতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিই বেশি উপকারি৷
টিপু মুনশি বলেন, আয়ুর্বেদ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা করার প্রয়োজন আছে৷ আমরা প্রচারে অনেক পিছিয়ে আছি৷ মানুষ যেন এটি ব্যবহার করতে শুরু করেন৷ এটা নিয়ে গবেষণা করারও প্রয়োজন রয়েছে৷ এতে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভরতা কমবে৷ দেশের ফরেন কারেন্সিতেও পরিবর্তন আসবে৷
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন আয়ুর্বেদ গ্রহণ করলে তখন দেশের বাইরেও এ ধরনের ওষুধ বা কাঁচামাল রপ্তানি করা যাবে৷
সোনালীনিউজ/আইএ