ঢাকা : কাঁচা মরিচের ঝাঁজ জেনো কমছেই না। দিশেহারা জনগণকে স্বস্তি দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাশাপাশি বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যে কারণে কমেছিল পণ্যটির দাম। কিন্তু হঠাৎ করেই আবারও কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম হাঁকাচ্ছেন ১২০ টাকা। সে হিসেবে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে ৪৮০ টাকা। অথচ সোমবার ও মঙ্গলবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি।
দাম বৃদ্ধির কারণে জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী বলেন, মরিচের বাজার আগুন। গতকাল (৪ জুলাই) এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ এনেছি ১১০০ টাকা দিয়ে। আজকে এনেছি ২৩০০ টাকা পাল্লা। এবার বলুন, আমি কী করব? শুনলাম ভারত থেকে মরিচ আমদানি হচ্ছে। এই খবরে দাম কমে গেল অর্ধেক, আজকে আবার বাড়ল, বাজারে যে কী হচ্ছে তা বলতে পারছি না।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের পর কাঁচা মরিচকে নিয়ে একটা তামাশা চলছে। তা না হলে একদিনের ব্যবধানে মরিচের দাম কেমনে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা হয়। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। যারা বাজারকে অস্থিতিশীল করছে, ভোক্তা অধিকার ও সরকারের পক্ষ থেকে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ফুয়াদ হোসেন টিটো বলেন, বাজারে মরিচের সংকট। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাজারে মরিচের সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়তি। তিনি বলেন, ভারত থেকেও আমরা যে পরিমাণ মরিচ আসবে বলে আশা করছিলাম, সে পরিমাণ মরিচ আসেনি। সব মিলিয়ে চাহিদার তুলনায় মরিচের আমদানি কম বাজারে, তাই দামও বেশি।
এর আগে ভারতের মরিচ আসায় গত ৩ জুলাই রাজধানীর বাজারে মরিচের দাম এক লাফে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। তবে তার আগের দিন ২ জুলাই ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও হাজার টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :