ঢাকা: বাজারে তেল ও চিনির দাম কিছুটা কমেছে। তবে ডিমের এখনো চড়া। ডজনপ্রতি ডিমের দাম উঠেছে ১৭০ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৯ টাকা থেকে ৫ টাকা কমে এখন বিক্রি হবে ১৭৪ টাকায়।
রাজধানীতে ডিমের পাইকারি দাম কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা বাজারে ডিম কিনতে গেলে চড়া দাম দিতে হচ্ছে। ডজনপ্রতি ডিমের দাম ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। চড়া দামের কারণে ডিমের বেচাকেনা ইতিমধ্যে কিছুটা কমেছে। তবে সরবরাহ বাড়লে ডিমের দাম আস্তে আস্তে কিছুটা কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
খোলা সয়াবিনের দামও লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা কমবে। সেই হিসাবে খোলা সয়াবিনের নতুন দাম হবে লিটারপ্রতি ১৫৪ টাকা। এক লিটার সয়াবিনের দাম ৫ টাকা কমলেও ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম কমবে ২৩ টাকা। তাতে বর্তমান দাম ৮৭৩ থেকে কমে দাঁড়াবে ৮৫০ টাকা।
খোলা পাম তেলের লিটারপ্রতি দাম থাকছে ১২৮ টাকা। লিটারপ্রতি বোতলজাত পাম তেলের দামও ১৪৮ টাকায় অপরিবর্তিত থাকবে। পাইকারিতে বাজার একটু করে নামছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী তিন বা চার দিনের মধ্যে দাম আরও কিছুটা কমে আসবে।
অপর দিকে চিনিকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনও খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর ও স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনির দাম ১৩৫ টাকা থেকে ৫ টাকা কমিয়ে ১৩০ টাকা করা হলো। আর একই হারে প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৪০ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।
এদিকে রাজধানীতে ডিমের পাইকারি দাম কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা বাজারে ডিম কিনতে গেলে চড়া দাম দিতে হচ্ছে। ডজনপ্রতি ডিমের দাম ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। চড়া দামের কারণে ডিমের বেচাকেনা ইতিমধ্যে কিছুটা কমেছে। তবে সরবরাহ বাড়লে ডিমের দাম আস্তে আস্তে কিছুটা কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
গতকাল ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুদিদোকান থেকে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম কিনতে গেলে ডজনপ্রতি দাম পড়ছে ১৭০ টাকা। বড় বাজার থেকে কিনলেও ১৬৫ টাকার নিচে কোথাও ডিম কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত পরশু তারা বাদামি রঙের প্রতি শতক ডিম ১ হাজার ৩০০ টাকার ওপরে কেনেন। গতকাল সেই ডিম তারা কিনেছেন ১ হাজার ২৭০ থেকে ১ হাজার ২৯০ টাকায়। তাতে পাইকারিতে ডজনপ্রতি দাম পড়ছে ১৫২ থেকে ১৫৫ টাকার মধ্যে। দুই দিন আগেও পাইকারিতে যা ১৬০ টাকার বেশি ছিল। ডিমের দাম প্রতি শতকে দুই দিনের ব্যবধানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমেছে। অথচ খুচরা বাজারে এর বিশেষ কোনো প্রভাব নেই।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :