Menu
ঢাকা : বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে যেসব সমস্যা রয়েছে, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ডলার সংকট। দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের সংকট থাকলেও বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের সংকট প্রবল আকার ধারণ করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার মিলছে না বললেই চলে।
অন্যদিকে কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারেও ডলার বেচাকেনা একেবারেই কমে গেছে। আর থাকলেও কিনতে হচ্ছে অধিক মূল্য দিয়ে।
ডলারের এই সংকটকালে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা এবং ডলার সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক সংস্থা মুডিস ইনভেস্টর এবং এসএন্ডপি গ্লোবাল বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয়ায় নতুন করে ঋণ কতোটা পাওয়া যাবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। সাধারণত এধরনের সংস্থার ঋণমান কমিয়ে দেয়ার কারণে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশি হারে সুদ দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ডলার সংকট নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। ডলার সংকটে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে এখনো সমস্যায় পড়ছেন উদ্যোক্তারা। ডলার সংকট ও দর বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। জিনিসপত্রের বাড়তি ব্যয় মেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সবমিলিয়ে এই পরিস্থিতি অর্থনীতিকে বিপদে ফেলছে।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT