ঢাকা : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তৈরি পোশাক শিল্পকে নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে এবং কারখানা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)।
রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
ফারুক হাসান আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ইপিলিয়ন কারখানায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোটেও সঠিক নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সরকারের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ, যারা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, এ শিল্পকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। সেইসঙ্গে শিল্প-কারখানা চালানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিন।
মজুরি বাড়ানোর পরও আন্দোলনের নামে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি জানান, ২০১০ সালে নূন্যতম মজুরি ৩ হাজার টাকা করেছিলাম। ২০১০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত পোশাক শিল্পে মজুরি বৃদ্ধির হার হচ্ছে ৩১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সরকার গঠিত নূন্যতম মজুরি বোর্ড নূন্যতম মজুরি পর্যালোচনা করে ৭ নভেম্বর নূন্যতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করেছে। নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে। কিছুদিন ধরে পোশাক শিল্প অধ্যুষিত কিছু কিছু এলাকার স্বাভাবিক শ্রম পরিস্থিতি নেই। এ শিল্প বর্তমানে এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :