• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রোজার শুরুতেই বাজারে আগুন, পদক্ষেপেও মিলছে না সুফল


সোনালীনিউজ ডেস্ক মার্চ ১১, ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
রোজার শুরুতেই বাজারে আগুন, পদক্ষেপেও মিলছে না সুফল

ঢাকা: রোজা শুরুর আগেই বাজারে সবজিসহ কাঁচামালের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ আর আমদানি করা পণ্যসহ আরও কিছু পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা আগেই বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ এই দাম কোন পর্যায়ে যায় তা নিয়ে আতঙ্ক আছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷

তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘রোজার এই দামের হাইপ দুই-তিন দিনের৷ এরপর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷ বেশিরভাগ ভোজ্য তেলসহ অধিকাংশ পণ্যের দামই স্থিতিশীল আছে৷’

ভোক্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা অভিযান শুরু করেছেন৷

বাজারে যা ঘটছে

সোমবার সকালে যারা কাঁচাবাজার করতে গেছেন তাদের সবজি বিক্রেতারা বলেছেন, একটু বেশি করে নেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) রোজা শুরু হলে কিন্তু দাম বেড়ে যাবে৷ আধা কেজি শসা কিনতে গিয়ে সবজি বিক্রেতা মো. রুবেল এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এক কেজি নিয়ে যান, ৭০ টাকা৷ আগামীকাল কিন্তু ১০০ টাকা হবে৷’ কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রোজা শুরু হবে৷ সব কিছুর দাম বেড়ে যাবে৷’ রাতারাতি শসার উৎপাদন তো কমে যাবে না? প্রশ্ন করলে তার জবাব, ‘রোজার মাসে দাম বাড়বেই৷ আমাদের আড়ৎদাররা বলেছে রোজা শুরু হলে দাম বাড়বে৷’

আর গত দুই দিন কাঁচবাজরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে আব্দুস সাত্তার লিমন নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘গত দুই দিনে শাক সবজি ও মাছের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ টমোটো, লেবু, শসাসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে৷ ৩০-৪০ টাকা হালি লেবুর দাম ৬০-৮০ টাকা হয়ে গেছে৷ এক দিনের ব্যবধানে শাক সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা, মাছের দামও কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে৷ মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে৷’

তার কথা, ‘বিক্রেতারা বলছেন রোজার আগে চাহিদা বেড়েছে৷ সবাই কিনছে তাই দামও বাড়ছে৷ রোজা শুরু হলে আরও বাড়বে৷’

আমদানি পণ্যেও শুল্ক কমিয়ে কোনো লাভ হয়নি

রোজার বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চার ধরনের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়৷ পণ্যগুলো হলো: চাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর৷

সেদ্ধ ও আতপ চালের আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে৷ বিদেশ থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে৷ খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়৷ আগে আমদানি শুল্ক ছিলো ২৫ শতাংশ৷

অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে৷ আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা৷ আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক কমিয়ে করা হয় দুই হাজার টাকা, আগে যা ছিল তিন হাজার টাকা৷ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই শুল্ক কমানোর ফলে চিনি কেজিতে ৭৫ পয়সা, সয়াবিন তেল লিটারে সাত-আট টাকা, পাম তেল লিটারে সাত-আট টাকা, সাধারণ মানের খেজুর কেজিতে ৩৩ টাকা এবং আমদানি করা চাল কেজিতে ৩৩ টাকা কমার কথা৷ তবে এখন চাল আমদানি করা হচ্ছে না৷ কিন্তু ভোজ্য তেল লিটারে ১০ টাকা কমানো হলেও আর কোনো পণ্যে দাম না কমে উল্টো বেড়েছে৷

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘সরকারের হাঁকডাক ছাড়া আর কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না৷ ব্যবসায়ীরা রোজার বাজারে দাম বাড়াবেই৷ তাদের ঠেকানোর কোনো বাস্তব প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে না৷ খেজুর আমদানিকারকেরা তো সরকারকে পাত্তাই দিচ্ছে না৷ চিনির দাম বেঁধে দিয়েও কাজ হচ্ছে না৷’

‘আমদানি পণ্যের দাম তো রোজার আগেই ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে নিয়েছে৷ এখন মাছ-মাংস আর সবজির দাম বাড়ছে৷ আজকে (সোমবার) রোজা শুরুর আগের দিন সবজির দাম ইচ্ছে মতো বাড়নো হচ্ছে৷ সবাই বাড়াচ্ছে তারাও বাড়বে,’ বলেন তিনি৷

খেজুর নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড৷ কিন্ত ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, ‘খেজুরের দাম কমানোর কোনো সুযোগ নাই৷ কারণ শুল্কায়নের সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা খেজুরের দাম অনেক বেশি ধরে তার ওপর ডিউটি নির্ধারণ করছে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমদানি শুল্ক কমাতে, তারা কমিয়েছেন৷ কিন্তু দাম বেশি দেখিয়ে দুইগুণ-তিনগুণ শুল্ক নিচ্ছেন৷’

পণ্যের ঘাটতি নেই, তারপরও দাম বাড়ছে

রোজায় এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যের ঘাটতি নাই৷ দেশে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ যেমন ঠিক আছে৷ আমদানি পণ্যেরও মজুত ঠিক আছে ৷ তারপরও পণ্যের দাম বড়ছে৷ আরো বাড়বে এই আশঙ্কা সবখানে৷

এনবিআরের তথ্য বলছে, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম দিয়ে গত তিন মাসে রমজানে ব্যবহার বাড়ে এমন চার ধরনের পণ্য খালাস হয়েছে প্রায় সাত লাখ ৮৬০ মেট্রিক টন৷ এই চার ধরনের পণ্য হলো: ছোলা, চিনি, খেজুর ও ভোজ্য তেল৷

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত তিন মাসে খেজুর খালাস হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৪০.৭৯ মেট্রিক টন৷ চিনি এক লাখ ৬০১ মেট্টিক টন, ভোজ্য তেল চার লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৪.০৮ মেট্রিক টন এবং ছোলা ৯১ হাজার ৩৫৪.৩৩ মেট্টিক টন খালাস হয়েছে৷ রমজানের জন্য আনা আরও প্রায় সাত-আট শতাংশ পণ্য খালাসের প্রক্রিয়ায় আছে বলে জানা গেছে৷ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯২ শতাংশ আমদানি রফতানি বাণিজ্য হয়৷

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা দেড় লাখ মেট্রিক টন৷ রমজানে এই চাহিদা গিয়ে দাঁড়ায় তিন লাখ মেট্রিক টনে৷ দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৮-২০ লাখ টন৷ চিনির মাসিক চাহিদা দেড় লাখ টন৷ তবে রমজানে সেটি বেড়ে তিন লাখ মেট্রিক টনে গিয়ে দাঁড়ায়৷ দেশে প্রতিবছর ছোলার চাহিদা এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন৷ এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা হয় রোজার মাসকে কেন্দ্র করে৷ রমজানে ছোলার চাহিদা এক লাখ টন৷ এছাড়া, খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৯০ হাজার টন৷ এরমধ্যে শুধু রমজান মাসেই ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়৷

রোজা শুরুর আগেই বাজারে দাম বেড়েছে খেজুরের৷ গত রমজানে সাধারণ মানের খেজুর প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন একই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়৷ ভোজ্য তেল বাদে ছোলা এবং চিনির বাজারের অবস্থাও একই৷ বিশ্ববাজারে দাম কমায় গত রমজানের তুলনায় এবার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে প্রায় ২০-২৫ টাকা কমেছে৷ তবে বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এলেও তার প্রভাব নাই বাংলাদেশে৷ গমের দাম ৪০ শতাংশ কমেছে৷

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরের মধ্যে এবারই রোজার বাজারে চিনি, খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজ ও অ্যাংকর ডালের দাম সবচেয়ে বেশি৷ সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে রোজার আগে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা৷ এ বছর চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা৷ তাতে এক বছরে চিনিতে খরচ বেড়েছে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকা৷

টিসিবির হিসাবে, ২০২১ সালে রোজার আগে বাজারে ছোলার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা৷ এ বছর দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা৷ তাতে দুই বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ থেকে ৪০ টাকা৷ তবে টিসিবির দামের চেয়ে বাজারে চিনি ও ছোলার দাম আরও বেশি৷ বাজারে এখন চিনির কেজি ১৫০ টাকা৷ ছোলা ১১০ টাকা কেজি৷ বাজারভেদে এ দুটি পণ্যের দাম টিসিবির দেওয়া দামের চেয়ে পাঁচ টাকার বেশি৷

ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান অবশ্য বলেন, ‘তেলের দাম কমেছে৷ চিনির শুল্ক সামান্যই কমনো হয়েছে৷ তার প্রভাব বাজারে পড়ার কথা নয়৷ আর খেজুর নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি৷ কারণ শুল্ক কমানো খেজুর এখানো আসেনি৷ আগের আনা খেজুর তাই দাম বেশি৷ কবে বস্তায় আনা খেজুরের দাম আমরা কেজি ২০০ টাকার নিচে দাম ঠিক করে দিচ্ছি৷ সবজি ও কাঁচাবাজার এবং ফলের বাজার ঠিক রাখতে আমরা অভিযান শুরু করেছি৷’

রোজার বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার যা করছে

পণ্যের বাজার মনিটরিং করতে সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয় ও ১১টি সংস্থা আছে৷ সেগুলো হলো: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিদফতর, কৃষি বিপণন অধিদফতর, টিসিবি, বিএসটিআই, সিটি করপোরেশন, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন৷

এরমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রোজার মাসে ঢাকার ৩০টি স্পটে গরুর মাংস ৬০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে৷ আর মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি করবে ৪২ টাকায়৷ আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টিসিবি রোজায় এক কোটি পরিবারকে ছয় ধরনের পণ্য দিচ্ছে ন্যায্য মূল্যে৷ পণ্যগুলো হলো: ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, ছোলা ও মসুর ডাল৷ টিসিবি জানিয়েছে, প্রত্যেক কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে চিনি ছাড়াও দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি খেজুর ও পাঁচ কেজি চাল বিক্রি করা হবে৷ প্রতি লিটার তেলের দাম ১০০ টাকা৷ প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০, চিনি ৭০, খেজুর ১৫০ টাকা দরে কিনতে পারবেন কার্ডধারী ক্রেতারা৷

বাজার মনিটরিংয়ে ভোক্তা অধিদফতর, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে৷ রোববার রাত থেকেই ভোক্তা অধিদফতর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে অভিযান শুরু করেছে৷

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী যা বললেন

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘রোজায় দ্রব্যমূল্যের এই হাইপ দুই-তিন দিনের৷ দেশে সবধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে৷ সমস্যা হচ্ছে আমরা যে এক কোটি পরিবারকে ছয় ধরনের পণ্য দিচ্ছি তা যদি টিসিবির মাধ্যমে আমদানি করে দিতে পারতাম তাহলে বাজারে তার বড় প্রভাব পড়ত৷ আমরা তো খোলাবাজার থেকে কিনে দিই৷ আবার একই বাজারে দেখা যাচ্ছে একই পেঁয়াজ তিন দামে বিক্রি হচ্ছে৷ সুপার শপের চেয়ে কাঁচাবাজারে আলুর দাম বেশি, এই ধরনের নানা সমস্যা আছে আমাদের সরবরাহ লাইনে এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি৷’

তার কথা, ‘কিছু পণ্য ছাড়া অন্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে৷ কৃষিপণ্য নিয়ে নানা কারসাজি আছে৷ বেগুনের কেজি ১৪০ টাকা হতে পারে না৷ কৃষি বিপণন অধিদফতরকে তাই আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নিচ্ছি৷ খাদ্যের একটা বাফার স্টক গড়ে তুলব টিসিবির মাধ্যম৷ আর খেজুর আমদানিকারকদের আমদানি খরচ আমরা পরীক্ষা করে দাম ঠিক করে দেব৷’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এবার মব মনিটরিং এজেন্সিকে অ্যাকটিভ করেছি৷ তারা পুরো রমজান মাঠে থাকবে৷ আর৷ নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি, একটু সময় লাগবে৷’ সূত্র: ডয়চে ভেলে

এমএস

Wordbridge School
Link copied!