ঢাকা: পবিত্র রমজানে ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিপিস লেবুর বাজারে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকায়। ২০ টাকা হালিতে পাওয়া গেছে লেবু। তবে রমজান শুরুর প্রথম দিনেই এক লাফেই লেবুর হালি ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এছাড়া শসা বাজারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামও রাতারাতি বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
বাজারে ভালোমানের গোল বেগুন (তাল বেগুন) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। একদিন আগে এ বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে লম্বা বেগুন কিনতে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যা একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রতি কেজি শসার দাম বেড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা প্রথম রমজানেই বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি মানের শসা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নিম্নমানের শসা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এদিকে খেজুর এবং চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা, বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রমজানে খোলা বাজারে চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।প্রতিমন্ত্রী বলেন, খোলা বাজারের চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
এএইচ/আইএ