ঢাকা : টানা পতনের পর আশার আলো দেখালো পুঁজিবাজার। টানা আট কার্যদিবস পতনের পর নবম দিনে আশার আলো দেখিয়ে শেষ হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (২০ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন।
বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে টানা পতনের কারণে গতকাল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। সেখানে ৭টি প্রস্তাব করেন তারা। বৈঠকের পরের দিন আজ শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বুধবার ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪০১ টি কোম্পানি। এর মধ্যে শেয়ারের দর বেড়েছে ৩০৫ টির, কমেছে ৫২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪ টির।
ডিএসইতে আজ ৪২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে এসেছে।
এছাড়াও, শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়েছে। দিন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ২৭৭ পয়েন্ট। অন্যদিকে ডিএস-৩০ সূচক ১২ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিবিএ'র দাবীর মধ্যে রয়েছে: শেয়ারের দরে পুনরায় ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজবটি রয়েছে, তা শতভাগ গুজব, মিথ্যা; ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পূনরাবৃ্ত্তি ঘটবে বলে ডিবিএ আদৌ মনে করেনা, বর্তমান মর্জিন বিধিমালা-১৯৯৯ এর যুগোপযোগী ও সংস্কার প্রয়োজন; ভালো কোম্পানির আইপিও বাজারে তালিকাভূ্ক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে সকল প্রকার আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভরতা কমাতে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর জোর দিতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ডের উপর না করে কোম্পানির ক্যাপিটাল সাইজের উপর করাই যৌক্তিক; সাধারন শেয়ারহোল্ডার, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার কিংবা অন্য কোন শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে ভিন্ন কোন উপায়ে কোন কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়; দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।
এমটিআই