ঢাকা: ভোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে অবস্হানকারী দেশীয় কোমল পানীয় ব্র্যান্ড 'মোজো' এর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্তিত হয়ে, দীর্ঘদিন যাবত কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে মোজো ব্র্যান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সকল স্বার্থান্বেষী মহল মোজো-এর নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ফেসবুকে প্রচার করছে। যার ফলে সাধারণ ভোক্তাগন প্রতারিত হচ্ছে এবং মোজোর সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে ও পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় আমাদের সন্মানিত ভোক্তাদের নিকট এই সব অপপ্রচারের বিষয়ে আমরা প্রকৃত সত্য তুলে ধরছি; পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির জন্য অন্যান্য অনেক কোমল পানীয় ব্র্যান্ডসহ অনেক পন্যের মতই মোজো কর্তৃপক্ষ বিগত ০৩/০৭/২০২৩ইং তারিখে সর্বশেষ মোজোর খুচরা মূল্য পূন:নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসাবে দেশের ভোক্তাদের ফিলিস্তিনি দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহানুভূতি দেখে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে “মোজো সাপোর্ট ফিলিস্তিন” মানবিক কার্যক্রম শুরু করে। ঊল্লেখ্য যে, এই কার্যক্রমটি শুরুর আগেই মোজো কর্তৃপক্ষ (আকিজ ভেনচার গ্রুপ) ফিলিস্তিন দুতাবাসকে মানবিক সহায়তা হিসাবে ১ কোটি টাকা প্রদান করে। যার সাথে ব্যবসার কোন সম্পর্কই ছিলো না।
চলমান ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে আক্রমণের দরূণ ফিলিস্তিনবাসী চরম দুর্দশার শিকার হলে দূর্দশাগ্রস্থ ফিলিস্তিনিদের 'মোজো' কর্তৃক আর্থিক সহায়তার মানবিক কার্যক্রমটি ভোক্তাদের নিকট ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় এবং ভোক্তাগন দেশীয় পন্য কেনার পাশাপাশী ইসরাইলী পন্যও বর্জন করে।
এমতাবস্থায় কতিপয় ঈর্ষান্বিত মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে মোজোর মূল্য বৃদ্ধি এবং তা ফিলিস্তিনি মানবিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করে মিথ্যা, হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভ্রান্ত তথ্য শেয়ার করে সাধারণ ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে। যেখানে বলা হচ্ছে মোজো ২০ টাকা দাম বাড়িয়ে ১ টাকা ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করছে এবং ধর্মীয় ও মানবিক দিককে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছে। যা পুরোই মিথ্যা ও বানোয়াট। এতে করে মোজোর সুনামহানীসহ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মোজো ভোক্তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে, “মোজো সাপোর্ট ফিলিস্তিন” একটি মানবিক কার্যক্রম এবং এটি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। আপনারা এই ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
পাশাপাশি যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এবং ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরী করে শেয়ার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মোজো কর্তৃপক্ষ সাইবার আইনে মামলা করেছে। মোজো আইনগত ভাবে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
মোজোর ভোক্তাদের নিকট অনুরোধ, আপনারা অসাবধানতা বশত: এই ধরনের পোষ্ট শেয়ার করে থাকলে পোস্টটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় অহেতুক বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। আপনারা সব সময় মোজোর সাথে ছিলেন এবং মোজোকে সাপোর্ট করছেন, সবাইকে অনুরোধ করব এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনারা সব সময় মোজোর সাথেই থাকুন এবং মোজোকে সাপোর্ট করুন। আপনাদের সহযোগিতায় মোজো আজকে ১৮ বছরের পথচলায় এ সাফল্য অর্জন করেছে। মোজো আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
এসআই
আপনার মতামত লিখুন :