ঢাকা: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ জারির একদিন পরই তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২২ এপ্রিল) কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন একটি রুল জারি করে আদেশটি স্থগিত করেন।
সোনালী লাইফের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতিপূর্বে আইডিআরএ সোনালী লাইফের বরখাস্তকৃত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমানের পেশ করা একটি রিপার্টের ভিত্তিতে, অডিট ফার্ম হুদাভাসিকে দিয়ে সোনালীর কার্যক্রম ও লেনদেনের একটি অডিট করানো হয়।
অডিট রিপোর্টটি সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর না করে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই সোনালীর বর্তমান বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাবেক সিইও যাকে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের দায়ে বরখাস্ত করা হয়, এমনকি যার বিরুদ্ধে কোম্পানির মূল ডাটা ম্যনিপুলেশনের মতো এবং জাল শিক্ষাগত সনদ প্রদান করে সিইও পদে চাকরি নেওয়ার মতো কঠিন অভিযোগ রয়েছে; যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হওয়ায় তিনি জেলও খেটেছেন।
তার মতো একজন অপরাধীর উদ্দেশ্যমূলক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইডিআরএ তাদের নিয়োজিত অডিট ফার্মকে দিয়ে নিরীক্ষা চালায় এবং তার প্রতিবেদনের উপর ভিওি করেই সোনালীতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইডিআরএ এমনকি অডিট ফার্মের অডিটের প্রতিবেদন কোম্পানি কতৃর্পক্ষকে সরবরাহ করেনি বা তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত বিষয় বা অভিযোগগুলো খন্ডানোর কোনো সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং গত ২১ এপ্রিল এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অডিটের মূল অভিযোগের যায়গাটি হলো- কোম্পানি থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অর্থ গ্রহণ। অথচ যে অর্থ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে- তা তিনি নিজের মালিকানাধীন সোনালী লাইফের প্রধান কার্যালয় ইমপেরিয়াল টাওয়ারের ভাড়া বাবদ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এ বিষয়টি কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। সোনালীর ‘দুর্নীতিবাজ’ তৎকালীন সিইও রাশেদ আমান তার দেওয়া রিপোর্টে সুকৌশলে এ বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ফলে অডিট প্রতিষ্ঠানও বিষয়টিকে আমলে নেয়নি।
দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ গত ৩ মাসে নানান অস্থিরতার মধ্যেও ব্যবসায়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ সময়ে তারা ১১৪ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। এ অবস্থায় প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক ধারনা তৈরি করতে পারে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :