ঢাকা: সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে তিন কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এবং কাতারের কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনা হবে। এতে মোট খরচ হবে এক হাজার ৩৫০ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকা।
এ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী২০২১)’ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রত্যাশা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৪৬২২ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪৫২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৭০ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের আগের ক্রয়মূল্য ছিল ১০ দশমিক ৮৬৩৭ মার্কিন ডলার।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরও এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৪৬২২ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪৫২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৭০ টাকা ব্যয় হবে।
অন্যদিকে কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার হিসাবে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মোট ব্যয় হবে ৪৪৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা। এলএনজি আমদানির এ প্রস্তাবটিও আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪৬৯ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউয়ের মূল্য ধরা হয় ১০ দশমিক ৮৬৩৭ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮ টাকা ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দাম ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৭৩৩৭ মার্কিন ডলার।
তার আগে গত ৩ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে তিন কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওই বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ৯ দশমিক ৪৯৬৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪১০ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৮৮ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ৯ দশমিক ৬৮০০ মার্কিন ডলার হিসাবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ৪১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৪১ হাজার ৭৬০ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া সুইজারল্যান্ডের টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪২৭ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দাম ধরা হয় ৯ দশমিক ৮৯ মার্কিন ডলার।
আইএ