Menu
ঢাকা: বাজারে মাছ, মাংস, ডিমসহ সব ধরনের আমিষের দাম চড়া। এর সঙ্গে খরায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বেড়েছে সবজির দামও। কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকার ঘরে পৌঁছেছে।
এবার মৌসুম শেষ হতেই বেড়েছে আলুর দাম। এদিকে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। সব মিলিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে তেমন সুখবর নেই।
রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুনের দাম আবারও শতক ছুঁয়েছে। আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি বেগুনের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বরবটির দাম রাখা হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। আর পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
বাজারে অন্যান্য সবজির মধ্যে ঝিঙে, ধুন্দুল ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিছুটা কমে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে পটোল ও ঢ্যাঁড়স। এদিকে ক্রেতাদের এক কেজি আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
এদিকে রোজার সময়ে বেড়ে যাওয়া মাংসের বাজারে ঈদের পর আরেকটু পরিবর্তন এসেছে। গরমে মুরগি মরার প্রভাব পড়েছে বাজারে। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছে। কোথাও আরও ১০ টাকা বাড়তি। রোজার মধ্যেও যা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকার আশপাশে ছিল।
ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ঈদের পর নতুন করে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের দাম পড়ছে প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা রঙের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। গরুর মাংসের কেজি পড়ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসির মাংসের দাম পড়ছে ১০০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গরমের তীব্রতা কমার সঙ্গে সঙ্গে মুরগি ও ডিম উৎপাদনে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া বাজার দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদনে না ফিরতে পারলে বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে।
মাংসের মতো মাছের বাজারেও দামের উত্তাপ। আকারভেদে চাষের তেলাপিয়া ও পাঙাশ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। চাষের রুই মাছের দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। ইলিশের বাজারের ঠিক নেই। এক কেজি আকারের ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। দেশি মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি শোল ও মাগুর আকারে ছোট হলেও দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। মাঝারি আকারের বাইম ও বোয়ালের কেজি হাজার টাকার মতো।
চড়া হচ্ছে মসলার বাজার
সামনে কোরবানিকে ঘিরে চড়া হচ্ছে মসলার বাজার। পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানিকারকদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় প্রভাব নেই। ক্ষেত্রবিশেষে পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে পাঁচ টাকার মতো কমেছে। এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। তবে দাম এখনো সেভাবে কমেনি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করলে দেশের বাজারে দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দেশি ও আমদানি করা রসুনের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২১০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আমদানি করা আদার দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি পড়ছে সাড়ে ৩৫০ টাকার ওপরে। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT