ঢাকা: বাজেটের সুবিধা নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কমিয়ে আনতে হবে বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের গলার কাটা।সার্বিক বিষয়ে বাজেটে সুস্পষ্ট সমাধান থাকা দরকার বলে মনে করেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বাজেট আসে, বাজেট যায় কিন্তু তাতে নাগরিকের কী লাভ। সেজন্য বলব এবারের বাজেটে মোটা দাগে কয়েকটি চাওয়ার মধ্যে একটি হলো নাগরিককে তিন বেলা পেট ভরে খাওয়ার সুবিধা দিতে হবে। এরপর বাসস্থান, পোশাক, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব সুবিধা সব নাগরিক সমানভাবে পাওয়ার অধিকার রাখে। এ ক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি-দুর্নীতি চলবে না। এসব মৌলিক অধিকারের বরাদ্দে কোনো লুটপাট করা যাবে না। এছাড়া বাজেটের উচ্চ ব্যয় মেটাতে আয় বাড়াতে হবে। বিশেষ করে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
বখতিয়ার আহমেদ বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে চলাচল করবে। কিন্তু ভঙ্গুর ব্যাংক খাত দিয়ে তা কী করে সম্ভব, এটি একটি বড় প্রশ্ন। আসলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কাগজ-কলমে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা দেখালেও প্রকৃত খেলাপি আরও অনেক বেশি। সব মিলিয়ে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বহু আগেই।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার হয়েছে। এসব টাকা দেশে থাকলে অনেক উন্নতি করা যেত। মূলত দুর্নীতি যত বাড়বে টাকা পাচারও তত বাড়বে। সাধারণত রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে সব দেশেই কম বেশি টাকা পাচার হয়। তবে এ দেশের মতো এত বেশি টাকা পাচার পৃথিবীর আর কোথাও হয় বলে জানা নেই। টাকা পাচারের কারণে ডলার সংকট শুরু হয়। আর ডলার সংকটের কারণে রিজার্ভ নেমে আসে তলানিতে। সেজন্য আসন্ন বাজেটে পাচার করা টাকা ফেরতে সুনির্দিষ্ট এবং শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
আইএ