• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সবাই কি সব সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন?


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩, ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
সবাই কি সব সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন?

ঢাকা : সঞ্চয়পত্র সরকার পরিচালিত একটি বিনিয়োগ প্রকল্প। যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে নির্ধারিত সময় পরপর মুনাফা পাওয়া যায়। সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকৃত মূলধনটিও উত্তোলন করা যায়। বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর দেশের নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন স্কিমের সঞ্চয়পত্র দিয়ে থাকে।

কেন সঞ্চয়পত্র করবেন?

দেশের নাগরিকদের বিনিয়োগের জন্য ঝামেলামুক্ত ও ঝুঁকিহীন মাধ্যম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। সরাসরি সরকার কর্তৃক পরিচালিত হওয়ায় এখানে ঝুঁকির পরিমাণ অন্যান্য বিনিয়োগের খাত থেকে অনেকটা কম। আর অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যমের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে সুদের হারও বেশি। কখনো জরুরি প্রয়োজন হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে নেওয়া যায়, তবে এক্ষেত্রে সুদের হার কিছুটা কমে যাবে।

সঞ্চয়পত্রের ধরন

বাংলাদেশে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে— পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র।

সবাই কি সব সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন?

সবাই সব ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন না। এ ব্যাপারে সরকার কিছু শর্ত ঠিক করে দিয়েছে। যেমন ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী, যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ এবং ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষেরা শুধু একক নামে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রও কিনতে পারেন না সবাই। অবসরভোগী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরা এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সবার জন্য উন্মুক্ত। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ একক বা যুগ্ম নামে এ দুই ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নাবালকের পক্ষে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ একসময় থাকলেও এখন আর নেই।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!