ঢাকা: ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে।চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেটের মূল স্লোগান হতে যাচ্ছে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার।
বাজেটে ভ্যাট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এটি বর্তমান বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বেশি।
অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়ে ২০ ধরনের খাতে ভ্যাট বৃদ্ধি করে ঘাটতি পূরণের পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। যার মধ্যে রয়েছে— সিগারেট, মোবাইলের টক টাইম ও সিম, দেশীয় এসি ও ফ্রিজ, কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকস, আমসত্ত্ব, আইসক্রিম, ট্যুর অপারেটর, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্ক, সিকিউরিটি সার্ভিস, লটারি টিকিট বিক্রয়। এছাড়া মেট্রোরেল থেকেও বড় অঙ্কের ভ্যাট সংগ্রহ করবে ভ্যাট বিভাগ।
মোবাইলে কথা হবে বাড়তি খরচ:
অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়ের আওতা বৃদ্ধি করলে মোবাইলে কথা বলতে আরো বাড়তি অর্থ গুনতে হবে ভোক্তাকে। বর্তমানে একজন ভোক্তা মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তা ৬৯.৩৫ টাকার কথা বলতে পারবেন।
আইএ