• ঢাকা
  • শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

টানা মাংসতে অরুচি, বেড়েছে সবজি-সালাদের দাম


নিজস্ব প্রতিবেদক:  জুন ২১, ২০২৪, ০১:১১ পিএম
টানা মাংসতে অরুচি, বেড়েছে সবজি-সালাদের দাম

ঢাকা: কোরবানির ঈদে গরুর মাংস খাওয়াটা হয়তো একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে আর গরুর মাংসের সঙ্গে সালাদ না হলে যেন জমেই না। সম্ভবত একারণে বাজারে দাম বেড়েছে সালাদ আইটেমের সবজির। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে দাম বেড়েছে শসা, গাজর, টমেটো, কাঁচামরিচের। এর মধ্যে কাঁচামরিচের দাম ৪০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। গত সপ্তাহেও দাম ছিলো ২৬০-২৮০ টাকা কেজি।

এছাড়া প্রকারভেদে শসা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। গাজরের দামও একই। পাশাপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু। বাজারে লেবুর হালি প্রকারভেদে ৫০-৬০ টাকা। পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। দামের কারণে অনেক দোকানিই কাঁচামরিচ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

তাদের মতে, ঈদের ছুটির মধ্যে ঢাকায় মাল (মরিচের) নিয়ে গাড়ি ঢোকেনি। চাহিদা অনুযায়ী মরিচ নেই। সেই সুযোগে দাম তো একটু বাড়বেই। চাহিদার চেয়ে কম মাল থাকলে তার দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক। 

এদিকে বাজারে সবজির সরবরাহও কম। পাশাপাশি ঈদে টানা মাংস খেয়ে হাঁফিয়ে ওঠা মানুষ এ সপ্তাহে সবজি কিনছেন বেশি। ফলে সবজির বাজারও চড়া। প্রায় সব সবজির দামই ৫-১০ টাকা বেড়েছে। 

বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮৫-১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেশি। ঝিঙার কেজি ৭০ টাকা, করলা ৮৫-৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, পটলের কেজি ৬০-৬৫ টাকা, কচুরমুখি ১০০-১১০ টাকা, কচুরলতি ৬৫-৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। 

আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতিকেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

আইএ

Wordbridge School
Link copied!