• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

১০ মাসে বিদেশিরা নিয়ে গেছে ১৩০ মিলিয়ন ডলার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৪, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম
১০ মাসে বিদেশিরা নিয়ে গেছে ১৩০ মিলিয়ন ডলার

ঢাকা: বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের আয়ের তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে গত জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশিরা তাদের আয় থেকে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন অধিবেশন শুরু হয়।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের (একে আজাদ) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

মন্ত্রী জানান, ভারতীয় নাগরিকরা ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন, চীন ১৪ দশমিক ৫৬, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭১, জাপান ৬ দশমিক ৮৯, কোরিয়া ৬ দশমিক ২১, থাইল্যান্ড ৫ দশমিক ৩০, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মালয়েশিয়ার নাগরিকরা ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রশ্নে শীর্ষ ৩০ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এবং তারা ব্যাংক থেকে কত টাকা নিয়েছেন তা জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী জানান, শীর্ষ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা করছে সরকার।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ কেলেংকারি বন্ধে খেলাপি ঋণগ্রহীতা ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চিহ্নিতকরণ এবং উক্ত ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন নিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বিদ্যমান আইনে খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিতরণকৃত ঋণের অর্থ উদ্দিষ্ট খাতের পরিবর্তে যেন অন্য খাতে ব্যবহার না হয় এবং অর্থের সঠিক ব্যবহার হয় তা নিয়মিত তদারকির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!