• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

টেকনো ড্রাগসের শেয়ার বরাদ্ধ: কে কত শেয়ার পেলেন?


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২, ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
টেকনো ড্রাগসের শেয়ার বরাদ্ধ: কে কত শেয়ার পেলেন?

ঢাকা: ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শততম ইস্যু হিসেবে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড-এর শেয়ার প্রো-রাটার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়৷ 

দেশে বসবাসকারী যেসব বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারের জন্য ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন, তারা পেয়েছেন ১১টি করে শেয়ার। ১০ লাখ টাকার আবেদন করেছেন, তারা পেয়েছেন ১ হাজার ১৬৬টি করে শেয়ার।

আর প্রবাসী বাংলাদেশি আবেদনকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে পেয়েছেন ২০টি করে শেয়ার। ১০ লাখ টাকার আবেদন করেছেন, তারা পেয়েছেন ২ হাজার ১৬টি করে শেয়ার। মঙ্গলবার কোম্পানিটির আইপিওর শেয়ারের এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

পুঁজিবাজারে আইপিওর ক্ষেত্রে এখন আর লটারি প্রথা নেই। ফলে যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে, তার আনুপাতিক ভিত্তিতে আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী টেকনো ড্রাগসের আইপিও বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলণ করবে। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

কোম্পানির তথ্য মতে, এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬১ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে ৯ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত টেকনো ড্রাগসে আইপিও আবেদন জমা পড়ে।প্রতিষ্ঠানটি কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা। কাট-অব প্রাইসের ৩০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ ২৪ টাকা করে আবেদনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ার কিনতে পারবেন।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানিটি নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিএমআরই (নরসিংদী কারখানা), ভবন নির্মাণ (গাজীপুর কারখানা), আংশিক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। 
কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২২ টাকা ৫৭ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা, বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে যা ৩ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

শততম ইস্যুর শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাওিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী, সিডিবিএল-এর মহা-ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করছেন তার একটি ছোট নমুনা হলো ইএসএস সফটওয়্যারের ১০০তম ইস্যু পরিচালনা। ডিএসই স্মার্ট বাংলাদেশের অটোমেশনের হাব হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে। এখন পুঁজিবাজারের অধিকাংশ কাজ টেকনোলজির মাধ্যমে চলছে। 

তিনি আরও বলেন, আজকে ইএসএস সিস্টমে যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছি তা দেশীয় একটি সফটওয়্যার। স্মার্ট বাংলাদেশ সেদিন বাস্তবায়িত হবে যেদিন আমরা নিজস্ব টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো। এই ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুধু অর্থ সাশ্রয় করিনি। এতে আইপিও প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। একইসাথে এর মাধ্যমে আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এই সফটওয়্যার আরো বড় পরিসরে আসবে। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, শুরুতে ইএসএস বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হলেও, ২০১৬ সাল থেকে স্টক এক্সেচেঞ্জের নিজস্ব মেধা ও দক্ষতায় ইএসএস সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স এবং স্বল্প সময়ে শেয়ার বন্টন নিশ্চিতকরণে ইএসএস পুঁজিবাজারের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনামূলক বিভিন্ন রেগুলেটরি আপগ্রেডেশন, এমেন্ডমেন্ট স্বল্প সময়ে ইএসএস-এ সংযোজনের সক্ষমতা সত্যি প্রশংসনীয়। ইএসএস ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে গতিশীল অবদান রাখবে।
টেকনো ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিএসই ও ইস্যু ম্যানেজারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের ডিএসইতে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চালু হয়েছে। আমি চাই নতুন নতুন মেডিসিন প্রোডাক্টগুলো বাংলাদেশে তৈরি হোক। এই কোম্পানির আইপিওতে ২৪.৬৪ গুণ বেশি সাবস্ক্রীপশন হয়েছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। 

তিনি আশা করেন কোম্পানিটি আগামীতে বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারবে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!