ঢাকা : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন সময় পাওয়া গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগ দেওয়া চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুরের বিষয়ে প্রতিবাদি হয়ে উঠে বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মকর্তারা।
যারা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগ দেওয়া চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুরের বিষয়েও বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন এবং তাকে চান না বলে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন।
তবে নিয়ম বর্হিভূতভাবে মাসরুরকে নিয়ে এমনটি করা হয়েছে বলে ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে একই সংগঠনের ৭ সদস্যের কার্যনির্বাহি পরিষদের ৬ জন। একইসঙ্গে মাসরুরকে নিয়ে দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে তাদের কোন সর্ম্পৃক্ততা নেই এবং সংগঠনটির সভাপতি ও বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমানের একক ইচ্ছাতে হয়েছে বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে সাক্ষর করেছেন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ৭ সদস্যের কার্যনির্বাহি পরিষদের ৬ জন।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর দাপ্তরিক প্যাডে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি পত্র গত ১৩ আগস্ট রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয়,যা দৃষ্টিতে এসেছে।
ওই পত্রে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, সদ্য নিয়োগকৃত বিএসইসি-এর চেয়ারম্যান বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজঅ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সদস্যদের মত বিনিময় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ড. এন. মাশরুর রিয়াজ- এর মতো বিতর্কিত ব্যক্তির জন্য কমিশনের কর্মপরিবেশ অনুকূলে হবে না, বিধায় ইতোমধ্যে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি উত্থাপনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
তবে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, মত বিনিময় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। কোন সিদ্ধান্ত কেবল মাত্র এজিএম/ইজিএম/কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত হওয়া বাঞ্চনীয়। এছাড়া রাষ্ট্রের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব কোন ফোরামে উপস্থাপনের অধিকার অ্যাসোসিয়েশনের নেই।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, মাসরুরকে নিয়ে যে প্রতিবাদ পত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, সেটা একান্তই বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমানের নিজের। এর সাথে অ্যাসোসিয়েশন এর কার্যনির্বাহী সদস্য একেএম ফারুক আলম, মুহাম্মদ হেমায়েত হোসেন, মো. সহিদুল ইসলাম, মাহমুদা শিরিন, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও মো: ফারুক হোসেনের কোন সম্পর্ক নেই।
এমটিআই