ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিটেন্স ও রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের আহ্বান।
মঙ্গলাবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল এ আহ্বান জানান।
এ সময় ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মো. হাবিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এম এ কাশেম, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান, বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ভূঁইয়া, বারভিডার সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডনসহ অন্যান্যরা।
আলোচনার শুরুতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. আহসান এইচ মনসুরকে অভিন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিটেন্স ও রিজার্ভ বৃদ্ধি করে এবং বিনিয়োগ বান্ধব বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নেতৃত্বে জোরালো ভূমিকা রাখবে।
তাছাড়া, এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই ব্যাংকিং কমিশন কার্যকর হলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।
দেশের অর্থনীতির গতি বাড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যাংক ঋণের সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ডলারের যোগান দেয়া, এসএমইসহ ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদান, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর পরিমান আরও বাড়ানো এবং অপরিশোধিত ঋণের কিস্তি পরিশোধে মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ৩ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করার প্রস্তাব রাখেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে এ মর্মে আশ্বস্ত করেন যে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্মোহভাবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়েও প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
গভর্নর আরও বলেন, অন্তবর্তী সরকার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসেছে। তাই তারা ব্যাংকিং খাতে সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর ও টেকসই হয় এমন পদ্ধতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন।
এআর