ঢাকা: নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের দাম সরকার পতনের পর কিছুটা কমলেও এখনো আশানুরূপ কমেনি। বাজারে এখনো হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের। তবে ব্রয়লার মুরগি ও ইলিশ মাছের দাম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, যা গত একমাস আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম কম থাকায় মুরগির মাংসের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে এক-দেড় কেজির ইলিশ আগে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এখন সেগুলো ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে দামের ভিন্নতাও রয়েছে। কয়েকদিন আগে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশের দাম ছিল ১৪০০-১৫০০ টাকা, যা এখন প্রায় ২০০ টাকা কমে ১২০০-১৩০০ টাকার মধ্যে এসেছে। তবে একই সাইজের নদীর ইলিশের দাম বেশি। কারণ সাগরের ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও নদীর মাছ কমেছে।
জানা যায়, শুধু ব্রয়লার নয়, পাকিস্তানি লেয়ার, সোনালি জাতের মুরগির দামও অনেকটা কমে এসেছে। প্রতি কেজি সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, যা একমাস আগেও ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা কেজি। এ ছাড়া, বাজারে পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আসায় স্বস্তি মিলেছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে। শরিফুল ইসলাম নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যারা গরীব মানুষ, আমরা চাইলেই গরুর মাংস খেতে পারি না। মুরগির মাংসের দামটা নাগালে থাকলে এটাই হয়ে উঠে আমাদের গরুর মাংস। কিন্তু দাম বেড়ে গেলেই আর ঠিকমতো খাওয়া হয়ে উঠে না।
তিনি বলেন, ব্রয়লার আজকে ১৬৫ টাকা দিয়ে কিনেছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এটাই এই বছরে সর্বনিম্ন দাম। সবসময় এই দামের মধ্যে থাকলেই আমরা খুশি।
দাম প্রসঙ্গে মুরগির মাংস বিক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগির দামটা একটু কম। মাস দুয়েক আগে একবার ১৭০ টাকা পর্যন্ত আসছিলো, কিন্তু এরপর আবার দামটা বেড়ে যায়। গত মাসেও ২০০ টাকার বেশি ছিলো, আজ আবার ১৬০-১৬৫ টাকা করে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি কম দামে কিনতে পারি, তাহলেই কমে বিক্রি করতে পারি। দামটা কম থাকলে আমাদের জন্যও ভালো, কারণ বেশি দাম থাকলে বিক্রিও খুব সীমিত হয়। এখন দাম কম, বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।
মাছ ক্রেতারা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এতে খুচরা বাজারে কিছুটা কমলেও দাম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ইলিশের সরবরাহ আরও বেশি হলে দামে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করেন তারা।
একজন ক্রেতা বলেন, দাম কমেছে আগের চেয়ে, তবে আরও কমা দরকার যাতে সবাই কিনতে পারে। এক কেজি মাছ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত। এবার ভারতে মাছ রপ্তানি হবে না শুনেছি টিভিতে। যে কারণে দাম কমার অপেক্ষায় আছে সকলে। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি।
এএইচ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :