ঢাকা: রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এভাবে ব্যাংক লুটপাটের ইতিহাস বিশ্বে আর কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, খুব শিগগির ব্যাংকখাতে সংস্কার করা হবে। ব্যাংকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমানতকারীর টাকা লোকসানে পড়বে না, তবে ধৈর্য ধরতে হবে, সময় দিতে হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোয় আমানতকারী অতিরিক্ত সুদের লোভে বা দুই শতাংশ সুদ বেশি পাওয়ার আশায় কিছু টাকা রেখেছেন। এখন একসঙ্গে সবাই ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে কীভাবে টাকা পাবেন? এখন ধৈর্য ধরুন, আস্থা রাখুন, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, টাকা পাবেন।
তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবো। টাকা ছাপিয়ে আর সহায়তা নয়। এতে কিছু আমানতকারীর লাভ হলেও দেশের জন্য ক্ষতি হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, ব্যাংকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবো। প্রয়োজনের বেশি টাকা তুলতে যাবেন না, আস্তে আস্তে ব্যাংকে ঘুরে দাঁড়াতে সুযোগ দিন। কোনো আমানতকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। ব্যাংক থেকে আস্থার সংকট দূর করতে হবে। একসঙ্গে টাকা তুললে বিশ্বের কোনো ব্যাংকই টাকা দিতে পারবে না। আমানতকারীরা টাকা ফিরে পাবেন। জরুরি প্রয়োজনে যতটুকু টাকার প্রয়োজন, ততটুকুই তুলুন।
গভর্নর বলেন, আমরা চাইলে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে দিতে পারি। এতে আমানতকারী টাকা ফেরত পাবেন, কিন্তু মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যাবে। এটা করলে দেশের জন্য ক্ষতি হবে। কিছু মানুষের উপকার করতে গিয়ে সবার ক্ষতি করতে পারি না, এটা আমরা করবোও না।
এএইচ/আইএ