ঢাকা: এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠনের পর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাফর আলম পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে ব্যাংকটির দুই উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাবিবুর রহমান ও খোরশেদ আলমও পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির এই তিন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদত্যাগ করা এমডি জাফর আলম বলেন, আমি একটু অসুস্থ, চলমান প্রেক্ষাপটও ভালো না। মেয়াদও বেশিদিন নেই, আগামী ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাবে তাই পদত্যাগ করেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসআইবিএলের নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে, আশা করছি তারা ভালো কাজ করবে।
তিনি দাবি করেন, তিনি নিজে থেকে কোনো ঋণ অনুমোদন করেননি; যেসব ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে, সেগুলো পরিচালনা পর্ষদ করেছে। এই দায় তার নয়। এস আলম গ্রুপের কোনো ঋণের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে দু’টি ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। এর মধ্যে একটি এসআইবিএল। এরপরই এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাংকটির দায়িত্বে আসেন। তাদের মধ্যে দু'জন এসেছিলেন ইসলামী ব্যাংক থেকে। আরেকজন এসেছিলেন অন্য আরেকটি ব্যাংক থেকে।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে গত ২৫ আগস্ট সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়।
আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ পুনর্গঠন করা হলো।
এসআইবিএলের নতুন পর্ষদে পরিচালক হয়েছেন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব.) মো. রেজাউল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন।
এআর