ঢাকা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ট্যানারি খাতের কোম্পানি ফরচুন সুজের ৫০ লাখ শেয়ার কিনে বড় লোকাসানে পড়েছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। বাজারে তুলনামূলক দূর্বল মৌলের এসব শেয়ার উচ্চ মূল্যে কিনেছিল আইসিবি।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ মে ১২৪ টাকা ২৩ পয়সা দরে ফরচুনের ২৫ লাখ শেয়ার কিনে আইসিবি। একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আরও ২৫ লাখ শেয়ার কেনা হয় ৭৯ টাকা ৬৬ পয়সা দরে অর্থাৎ দুই দফায় কেনা ফরচুন সুজের ৫০ লাখ শেয়ার কিনেছে আইসিবি, যার গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। এতে আলোচ্য শেয়ারের দাম পড়েছে ৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
অথচ গতকাল মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ফরচুনের শেয়ারমূল্য কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। এতে আইসিবির কেনা ৫০ লাখ শেয়ারের দাম কমে মাত্র ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। এর ফলে ফরচুন সুজে বিনিয়োগ করে আইসিবির লোকসান হয়েছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত ফরচুন সুজের শেয়ার সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এর ফলে কোম্পানির শেয়ারেই আইসিবির ৬০ কোটি টাকা আটকা পড়েছে।
এদিকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ রয়েছে ফরচুন সুজের বিরুদ্ধে। আর এজন্যই সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
অপরদিকে পুঁজিবাজারে বিগত সময়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারসাজির ঘটনা খতিয়ে দেখতে গত ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসি একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ফরচুন সুজের শেয়ারে যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, একটি চক্র আইসিবির অনেক বেশি ক্ষতি করেছে। এর ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জড়িত অনেকে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। আইসিবিতে সংঘটিত নানা অনিয়ম প্রকাশ্যে আনতে হলে এদের দেশ ত্যাগে বাধা দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করছেন।
এমটিআই