ঢাকা : অন্তর্বর্তী সরকার ডিমের দাম বেঁধে দেওয়ার পর থেকেই বাড়ছে ডিমের দাম। অধিদপ্তরের আদেশে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে ডিমের হালি খুচরা পর্যায়ে ৪৭.৪৮ বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
অর্থাৎ প্রতি হালিতে ১২ টাকার বেশি দিতে হচ্ছে গ্রাহককে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা চিঠিতে ডিমের দাম নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের এ দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোয় এখন ডিমের দাম বেড়েছে।অন্যদিকে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে বন্যার কারণে ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির প্রতিবেদনই বলছে, খুচরা বাজারে অনেকটাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ডিম।
মূল্য নির্ধারণ সরকারের একতরফা প্রক্রিয়া বলে অভিযোগ করেন কারওয়ান বাজারের বেশ কয়েকজন ডিম ব্যবসায়ী। তারা বলেন, সরকার যখন কোনো ভোগ্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তখন কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে না। এতে করে সরকারের বাজারবিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত সফলতার মুখ দেখেনি।
তারা আরও বলেন, এর আগেও বহুবার সরকার ভোগ্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে। খুচরা বাজারে অভিযান জরিমানাও করেছে। তাতেও সরকারের পক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এর জন্য সবার আগে পাইকার ও উৎপাদকদের নীতিমালার আওতায় নিয়ে এলে ও তদারকি করলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে।
এমটিআই