ঢাকা: দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহের চেয়ে আরও বেড়েছে সবজির দাম। চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি। আর পেঁয়াজের দাম সামান্য কমতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির ফলে সবজি সরবরাহ কম এছাড়াও মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সবজি কম আসছে। এর ফলে দাম কিছুটা বেশি। শীত মৌসুমের আগাম সবজির সরবরাহ কম। দুই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এখন দাম বাড়ছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে এক সপ্তাহ আগে। ব্রয়লার মুরগি এখনও ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে।
কমছে না যে আলু পেঁয়াজের দামও। কয়েক মাস ধরে চড়া রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শর্ত শিথিল ও শুল্ক কমানোর পর দেশের পেঁয়াজের দাম অল্প কিছুটা কমেছে। আগে যেটি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, সে পেঁয়াজ এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমেছে। অনেক সবজি ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া এখন গ্রীষ্মের মৌসুমের সবজিগুলো সরবরাহ শেষ দিকে, আর শীত মৌসুমের আগাম সবজির সরবরাহ কম। দুই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এখন দাম বাড়ছে।
গ্রীষ্মের মৌসুম শেষে, শীতের মৌসুম শুরুর আগের এই সময়টি প্রতিবছর সবজির দাম একটু বেশিই থাকে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজির সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতে এখন সবজির দাম বেশি। পেঁপে ছাড়া বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তাও ৬০ থেকে ৭০ টাকায় শুধু পটল মিলছে। ঢেঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, কচুমুখী বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।
বরবটি, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শীতের আগাম সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। প্রতি পিস ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :