• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামের তিনটি শিল্প গ্রুপের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ১২:০৪ এএম
চট্টগ্রামের তিনটি শিল্প গ্রুপের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

ঢাকা: পুঁজিবাজারের ভালো কোম্পানি আনতে চট্টগ্রামভিত্তিক তিনটি শিল্প গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

শিল্প গ্রুপ তিনটি হচ্ছে, পিএইচপি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম গ্রুপ ও প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ। সোমবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়।

পিএইচপি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরসহ কয়েকজন শিল্পোদ্যোক্তা এই বৈঠকে অংশ নেন।

বিএসইসির পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এ সময় বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনাকালে পিএইচপি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে বেসরকারি খাতও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে এ কাজ করছে পিএইচপি গ্রুপ।

বৈঠকে বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি কোম্পানি স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুশাসনও নিশ্চিত করে। এ সময় তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের শেয়ার ডি-ম্যাট ফরমে রাখার ক্ষেত্রে অনিয়ম রোধে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা পরিচালনায় বড় অঙ্কের চলতি মূলধন লাগে। কিন্তু পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিমালায় পুঁজির ব্যবহার নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনি সংস্কার আনা হলে তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানির জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নের সুযোগ বাড়বে।

বৈঠকে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভালো মৌলভিত্তি ও প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে বিএসইসি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে বিএসইসি। সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘দীর্ঘকাল যেসব কোম্পানি সাফল্য ও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, শেয়ারবাজারেও তাদের অংশগ্রহণ আমাদের কাম্য।’

বৈঠকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিভিন্ন বিষয়, তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতা, তালিকাভুক্তির পর যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং কীভাবে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে বিএসইসি ও শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, এই বৈঠক ও আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশের শেয়ারবাজারে ভবিষ্যতে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি তালিকাভুক্তি হবে বলেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রত্যাশা করে। আর সেটি হলে পুঁজিবাজারে নতুন গতি আসবে এবং বাজার আরও প্রাণবন্ত রূপ পাবে।

এএইচ/এসএস

Wordbridge School
Link copied!