ঢাকা: কর্মস্থলকে আরও নিরাপদ নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে, সম্প্রতি সহকর্মীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক সচেতনতা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ব্র্যাক ব্যাংক।
আরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ছিল সহকর্মীদেরকে জরুরি চিকিৎসার কিছু মৌলিক বিষয়ে দক্ষ করে তোলা, যেন তারা সামনের সময়ে যে-কোনো মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি-তে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেন।
ঢাকা ভিত্তিক মোট ৫০ জন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এখন থেকে তারা নিজ নিজ অফিস স্টেশনে সিপিআর এবং ফার্স্ট এইড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। সিপিআর এবং ফার্স্ট এইড পরিচালনা করতে পারে এমন সহকর্মীদের একটি পুল তৈরি করতে দেশব্যাপী অফিসগুলিতে পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকাস্থ এভারকেয়ার হাসপাতালের দুর্ঘটনা ও জরুরি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. এম হাসান আন্দালিবের নেতৃত্বে এই প্রশিক্ষণে সিপিআর, ক্ষতস্থানের যত্ন এবং কর্মক্ষেত্রে সচরাচর বেশি ঘটতে দেখা যায় এমন কিছু আঘাতের ব্যবস্থাপনার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই বিষয়ে এমন ব্যবহারিক নীতি ব্র্যাক ব্যাংক কর্মীদেরকে সংকটময় পরিস্থিতিতে দ্রুত সফল ব্যবস্থা নিতে সক্ষম করে তুলবে, যা সহকর্মী ও গ্রাহকদের রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন- ‘একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বাস করে, যে নিরাপদ কর্মস্থল একটি যৌথ দায়িত্বশীলতার বিষয়। সংকট মোকাবেলায় আমাদের সহকর্মীদের প্রস্তুতির লক্ষ্যে এরকম বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে নিরাপত্তা ও সচেতনতা সবার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কাজ করে।’
এই উদ্যোগ জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করার পাশাপাশি সহকর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের ধারাবাহিক অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস, সহকর্মীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা মেনে চলার ক্ষেত্রগুলোতে প্রতিষ্ঠানটির আন্তরিক সক্রিয়তার পরিচায়ক।
কর্মীদের প্রতি যত্নশীল একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশেষজ্ঞদেরকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক এমন নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ব্র্যাক ব্যাংক, যেটি কর্মক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তার প্রতি দায়বদ্ধতাকেই তুলে ধরে।
এসএস