ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। এর মালিকানায় শেয়ারবাজারে বহুল বিতর্কিত সালমান এফ রহমান। যিনি এখন জেলখানায়। ফলে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোও সংকটে পড়েছে। আর্থিক সংকটে শ্রমিকদের বেতন দিতে না পারায় আন্দোলন করছে তারা।
বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) এর দুটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন নিরীক্ষক।
কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবের নোট ২২ ও ৪২ (বি), এই দুটি নোটে দৃষ্টি দিয়েছেন। এরমধ্যে নোট ২২ এ কোম্পানির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়ে অস্বাভাবিক পতন ও ৪২ (বি)’তে চলতি বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
নোট-২২ অনুযায়ি, বেক্সিমকোর ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য বিক্রি বা আয় হয়েছিল ৬ হাজার ৬৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। যার পরিমাণ কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ৪ হাজার ৭৬ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৬১ শতাংশ।
এই পতনের কারন হিসেবে আর্থিক হিসাবে জানানো হয়েছে, পণ্য রপ্তানি কমেছে এবং অস্বাভাবিকভাবে দেশে পণ্যের চাহিদা কমেছে। এছাড়া ডলার সংকটে ব্যয় বেড়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এদিকে নোট ৪২ (বি)’তে চলতি অর্থবছরের মন্দার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই নোট-এ জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতা, কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ, অতিরিক্ত সাধারন ছুটি ঘোষনায় পণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরন, বিতরন, পার্টে আনা-নেওয়া অনেক বাধাগ্রস্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও নগদ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে ১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত হয় বেক্সিমকো। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮৯৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৬.৮৯ শতাংশ।
এমটিআই