• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাণিজ্য উপদেষ্টা

গ্যাস সংযোগের রাস্তা কাটার অনুমোদন পেতে ২০ কোটি টাকা ফি দিতে হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
গ্যাস সংযোগের রাস্তা কাটার অনুমোদন পেতে ২০ কোটি টাকা ফি দিতে হয়েছে

ঢাকা : বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগের জন্য রাস্তা কাটার অনুমোদন পেতে ২০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই টাকা দেওয়ার জন্যও অনেক টাকা দিতে হয়েছে। এখন থেকে কাউকে আর তা দিতে হবে না।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ‘দেশের শিল্প খাতে জ্বালানি-সংকট সমাধানের পথ’ শীর্ষক এ সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ বশিরউদ্দীন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্প খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রায় এক দশক ধরে দেশের শিল্পকারখানাগুলো তীব্র গ্যাস-সংকটে ভুগেছে। এ সময় বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেওয়া বন্ধ ছিল, এখনো বন্ধ। পাশাপাশি ২০২০ সালে এক পরিপত্র জারি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পপার্কের বাইরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকবে। গ্যাস-সংকট এখনো রয়েছে। আওয়ামী লীগ এই সংকটের কথা বলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করে ২০১৮ সালে। গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে এখন বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ পড়ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে নজর না দিয়ে আমদানি শুরু করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, পাইপ লাইনের প্রান্তিক প্রান্তে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সমস্যার একমাত্র সমাধান নতুন পাইপ নির্মাণ। এই পাইপ লাইন নির্মাণ বাবদ ২০ কোটি ব্যয় হয়েছিল তাঁর। সেই টাকা দেওয়ার জন্য আবার টাকা দিতে হয়েছে।

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ‘গ্যাস সংযোগের জন্য জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে আমাকে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে অনেক লেকচার শুনতে হয়েছে। মিনিমাম ইজ্জত পর্যন্ত পাইনি। তারপরও জি স্যার, জি স্যার বলতে হয়েছে।’

তবে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি আর নেই বলে দাবি করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আপনারা (ব্যবসায়ীরা) নিজের জন্য বিনিয়োগ করুন। সব কাজ সরকারের আশার ফেলে রাখার প্রয়োজন নেই।’

এমটিআই

Wordbridge School

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!