• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
১০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি

ঢাকা: দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও কর্মসংস্থানের অন্যতম উৎস এক কোটি ২২ লাখের বেশি আর্থিক ইউনিট বা প্রতিষ্ঠানের তথ্যে সমৃদ্ধ হতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি। আগামী ১০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবারের শুমারিতে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করবেন। 

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পরপর এমন শুমারি করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

শুমারির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২৭-২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনদিনের এ প্রশিক্ষণে পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভাগীয়, জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং মনিটরিং কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। উপ-প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান প্রচার ও প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এবারের অর্থনৈতিক শুমারিতে ৬৫টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ‘ক্যাপি’ পদ্ধতিতে এ শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরই মধ্যে লিস্টিংয়ের মাধ্যমে এক কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার শুমারিতে প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।

মাহবুব হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিবিএসের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সদস্য এবং স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে শুমারির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা সফল শুমারি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এএইচ/এসএস

Wordbridge School
Link copied!